মাও. মো. আনোয়ারুল ইসলাম
স্রষ্টায় বিশ্বাসী সকল মানুষ জান্নাত জাহান্নাম আছে এ কথা স্বীকার করে। মানুষ মরণশীল। মৃতুর পর অবস্থান দুই জায়গার যে কোন একটিতে হবে জান্নাত অথবা জাহান্নাম। আমরা যারা মুসলমান হিসেবে পরিচিত, আমাদের প্রত্যাশা হলো জান্নাতে যাওয়া। জান্নাতে যেতে চাইলে জাহান্নামে যাওয়ার কারণগুলো পরিহার করতে হবে।
জাহান্নামে মানুষ যে সকল কারণে যাবে সেগুলো কুরআন-হাদিসে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে বর্ণনা করা হয়েছে । এখানে আমরা সূরা মুদ্দসাছিরে উল্লিখিত চারটি কারণ নিয়ে আলোচনা করব।
আল্লাহ তায়লা পরকালে হিসাব নিকাশ শেষে আমাদের জান্নাত অথবা জাহান্নামে স্থান দিবেন। তখন জান্নাতিরা জাহান্নামিদের দেখতে পাবে এবং জাহান্নামিরাও জান্নাতিদের দেখতে পাবে। এমত অবস্থায় জান্নাতিরা জাহান্নামিদের জাহান্নামে যাওয়ার কারণ জিঙ্গাসা করবে। জাহান্নামিরা তখন জাহান্নামে যাওয়ার কারণ নিজেরাই স্বীকার করবে।
এ ব্যপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘কিন্তু ডানদিগস্থরা, তারা থাকবে জান্নাতে এবং পরস্পরকে জিঙ্গাসাবাদ করবে, অপরাধীদের সম্পর্কে । বলবেঃ তোমাদের কিসে জাহান্নামে নীত করেছে? তারা বলবেঃ আমরা নামাজ পড়তাম না, অভাবগ্রস্তকে আহার্য দিতাম না, আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম (সুরা মুদ্দাচ্ছির ৪০Ñ৪৫)।
আলোচ্য আয়াতগুলো হতে জাহন্নামে যাওয়ার চারটি কারণ জানা গেল— ১.তারা নামাজ পড়তো না, ২.তারা কোন অভাবগ্রস্থ ফকিরকে আহার্য দিত না অর্থাৎ দরিদ্রদের প্রয়োজনে ব্যয় করতনা, ৩. ভ্রান্ত লোকেরা ইসলাম ও ঈমানের বিরুদ্বে যেসব কথাবার্তা বলত অথবা গোনাহ ও অশ্লীল কাজে লিগÍ হত, তারাও তাদের সাথে লিপ্ত হত এবংসর্ম্পকহীনতা প্রকাশ করতনা, ৪. তারা কিয়ামতকে অস্বীকার করত।
তাই আসুন জান্নাতে যেতে চাইলে আামরা উপরোক্ত চারটি অভ্যাস পরিহার করি। মহান আল্লাহ তায়লা আমাদের অভ্যাস গুলো পরিহার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।