1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
চুয়াডাঙ্গায় হাসপাতালের টয়লেটের কমোড থেকে নবজাতক উদ্ধার - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৮:৪১ অপরাহ্ন

চুয়াডাঙ্গায় হাসপাতালের টয়লেটের কমোড থেকে নবজাতক উদ্ধার

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৯১ জন খবরটি পড়েছেন

শনিবার (১১ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের টয়লেটের কমোডের ভেতর থেকে এক কন্যা নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলেন, ‘নবজাতকটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। চিকিৎসা শেষে একজন নার্স তার বাসায় নিয়ে গেছেন। বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। মায়ের পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছি।’

চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম দোলন বলেন, ‘শনিবার গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন অজ্ঞাতপরিচয় নারীরা। এ সময় তারা অবস্থান নেয় সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যা ভবনের ৬ তলার ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে। হাসপাতালে ভর্তির কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি। কোনো একসময় গর্ভবর্তী অজ্ঞাতপরিচয় নারী কারও সহযোগিতায় টয়লেটের ভেতরে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করেন। কন্যা নবজাতক সন্তানটি তারা টয়লেটের কমোডের ভেতরে ফেলে রেখে চলে যায় রাতে।

তিনি আরও বলেন, রাত ৩টার দিকে সদর হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের টয়লেটে যান এক রোগীর স্বজন। তিনি নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পেরে বিষয়টি দায়িত্বরত আয়া রেশমাকে জানায়। রেশমা কমোডের ভেতর থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করে সিনিয়র নার্সদের সহযোগিতায় জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। পরে শিশুটিকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। সকালে শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন শিশুটিকে পরীক্ষা করে দেখেন সুস্থ আছে।

রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শিশু ওয়ার্ড থেকে নবজাতকটিকে হাসপাতালের কোয়াটারের বাসায় নিয়ে যান সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখা। তিনি কন্যা নবজাতকটিকে লালন পালন করছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখা বলেন, ‘আমার প্রতিবন্ধী একটি ছেলে আছে ১৬ বছর বয়সের। নবজাতকটিকে নিজের সন্তান হিসেবে নিয়েই লালন পালন শুরু করেছি। স্যারদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই বাসায় নিয়ে এসেছি। বাসায় আনার পর থেকে সন্তানটি শুধু ঘুমাচ্ছে। আর খিদে লাগলে ঘুম ভেঙে কান্না করছে। তখন ফিডারে করে দুধ খাওয়াচ্ছি।’ সময় নিউজ

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews