ইলিয়াস হোসাইন। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মী মনিরা বেগম ও ইপিআই ঠিকাদান কর্মসূচির মেডিসিন বহনকারী নজরুল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের কার্যালয় এর দুটি ভবন দখল করে বসবাস করছেন।
চারটি ভবনের দুটি দখল করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন তারা। তবে কিভাবে এখানে থাকছেন এ ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সুবিদখালি বাজারের স্টিল ব্রিজ সংলগ্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এর কার্যালয় চত্বরে একতলা চারটি টিন সেট ভবন রয়েছে। এর দুটি দখল করে থাকছেন দুই কর্মচারী। প্রধান কার্যালয পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকছেন ইপিআই ঠিকাদান কর্মসূচির মেডিসিন বহনকারী নজরুল ইসলাম, তার পাশের কার্যালয় থাকছেন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী মনিরা। পরিবার নিয়ে থাকার সুবিধার জন্য নিজস্ব অর্থায়নে বাড়িয়ে নিয়েছেন রুমও।
কর্মচারীদের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা প্রায় তিন থেকে পাঁচ বছর আগে থেকেই এখানে থাকছেন। আগে কিছু টাকা ভাড়া দিলেও এখন আর সেই ভাড়া দিতে হচ্ছে না। তবে সরকারি কার্যালয়ের ভাড়া কে নিচ্ছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দেন নি তারা।
আশেপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মী মনিরা
অনেক দাপট। বিভিন্ন সময়ে কার্যালয়ের আশেপাশে থাকা গাছ কেটেও বিক্রি করছেন তিনি।
এখানে বসে চিকিৎসাও করেন তিনি। গরিব পরিবারের লোকজনদের ভুল বুঝিয়ে এখানে এসে
চিকিৎসা করিয়ে টাকা নেন তিনি।
তবে এসব বিষয় পরিচ্ছন্নতা কর্মী মনিরা ও মেডিসিন বহনকারী নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তারা সামনাসামনি কথা বলবেন বলে ফোনের লাইনটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তেন মং বলেন, তারা সেখানে আমি
আসার পরে থাকছেন বিষয়টি এমন নয়। তারা অনেক আগে থেকেই এখানে থাকছেন। তবে এ
ব্যাপারে তাদের অফিসিয়ালি কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে লিখিত আকারে
তাদেরকে কার্যালয় ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।