প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে যশোরে আহসান হাবিব (৩৭) নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি যশোর সদর উপজেলা দেয়াড়া ইউনিয়নের আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।নিহতের লাশ এখন যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, প্রচন্ড গরমের মধ্যেও সকালে মাঠে কাজ করছিলেন তিনি। বাসায় ফেরার পথে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাবিবুর রহমানের বুকে ব্যাথা শরির জ্বলে যচ্ছে পুড়ে যচ্ছে।আমরা তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্কুলশিক্ষকের বাবা ইউসুফ আলী মোল্লা জানান, সকালে তার ছেলে আহসান হাবীব রোদের মধ্যে মাঠে ধান কাটছিলেন। এমন সময় তাকে রোদে ধান কাটতে নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি শোনেননি। পরে ধান কেটে বাড়িতে ফিরে আহসান হাবীব অসুস্থ বোধ করেন। এ সময় বাড়ির লোকজন তার মাথা, হাত ও মুখে পানি দেয়। এরপর তিনি স্কুলে যাওয়ার সময় আরও তীব্র অসুস্থ বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার হাসিব মোহাম্মদ আল হাসান হাসপাতালে আমার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসক বলেন কি কারনে মারা গেছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে জানা যাবে।
পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন হিট স্ট্রোকে আহসান হাবীবের মৃত্যু হয়েছে। কারণ তিনি কাজ করতে অভ্যস্ত ছিলেন না। রোদে কাজ করার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার হার্টের সমস্যা ছিল, তবে খুব বেশি না।
শিক্ষকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আহসান হাবীব বিগত দশ বছর ধরে স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছিলেন। তার একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর-রশিদ জানান,আজ সকালে ওই স্কুলশিক্ষককে (আহসান হাবীব) মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন আজ সকালে রোদের মধ্যে তিনি মাঠে কাজ করেছেন। স্বজনরা সন্দেহ করছেন, গরমে তার হিট স্ট্রোক হয়ে থাকতে পারে। তবে আমরা এখনো চূড়ান্ত রিপোর্ট পাইনি। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের ধারণা, তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারেন।