মাদারীপুর -মাদারীপুরের রাজৈরে মুখোমুখি সংঘর্ষে যাত্রীবাহী দুটি বাস চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। এতে কেউ নিহত না হলেও দুই বাসের চালকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজৈর উপজেলার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বড়ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় মহাসড়কে প্রায় একঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে সড়কের দুপাড়ে আটকা পড়ে ছোটবড় সহস্রাধিক যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন দূরপাল্লার যাত্রীরা।
স্থানীয়রা জানান, মাদারীপুর থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সোনালী পরিবহনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা বলাকা পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি বাসের সামনের অংশ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। এতে দুই বাসের চালকসহ আহত হন অন্তত ১৫ জন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে প্রায় একঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
মাদারীপুরের রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে আটকা পড়া যানবাহন সরাতে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে কাজ করে থানা পুলিশও।
গোপালগঞ্জ– গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মা ও মেয়েসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝিগাতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার টাউন নোয়াপাড়া গ্রামের সাদ্দাম গাজীর ছেলে সাইদুর রহমান (৪৪), একই জেলার মোল্লাহাট উপজেলার সারুলিয়া গ্রামের হাসিব মোল্যার ছেলে সাগর মোল্যা (২৪), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাতালী গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ এরশাদ আলীর ছেলে ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের খুলনা জোনের কালেকশন এন্ড মনিটরিং অফিসার সৈয়দ মামশেদ আলী (৩১), খুলনার টুটপাড়া এলাকার আবুল হাসানের স্ত্রী তহুরা (৫৫) ও মেয়ে তানিয়া আফরোজ তহুরা (৩০) এবং গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশাহী গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে রইচ শেখ (২৪)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইমাদ পরিবহনের বাসটির বেপরোয়াগতির কারণে ট্রাকটির সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। ফলে বাসটি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এতে বাসটির সামনের অংশ পুরোপুরি ভেঙে যায়। তছনছ হয় বাসের ভিতরের সিটগুলোও।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোল্যা সেকেন্দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীতমুখী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদপুরে আরও একজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের এসআই আবদুল্লাহ হেল বাকি জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাসটিকে পুলিশের রেকার দিয়ে উদ্ধার এবং ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। সময় নিউজ