নিজস্ব প্রতিনিধি, শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)। বঙ্গোবসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ায় তা ‘দানা’য় পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বুধবার সকাল থেকে সাতক্ষীরা শ্যামনগরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। সেই সাথে থেমে থেমে হচ্ছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। এরই মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে ৩নং স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।
তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় ১৬২টি আশ্রয়কেন্দ্র, জানমালের নিরাপত্তার জন্য ২ হাজার ৯৮০ জন সিপিপি সদস্যসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছেন। এছাড়াও পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম, উদ্ধার কর্মী ও সংকেত প্রচারণা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রস্তুত আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ৭৪০ জন দুর্গত মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যাবে। এছাড়াও সেখানে পর্যাপ্ত গবাদিপশু আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. সঞ্জীব দাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপজেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিদিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্রের পরেও প্রয়োজন হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোও ব্যবহার করা হবে। তিনি আরোও বলেন, দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গবাদিপশুর খাদ্য মজুদ আছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ আছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, শ্যামনগরে ৩৬০ কিলোমিটারের মতো বেড়িবাঁধ আছে। এর মধ্যে ৬-৭টি পয়েন্ট বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করার জন্য ৩ হাজার জিও বস্তা, ২ হাজার প্লাস্টিক বস্তা, ১০টি জিও রোল প্রস্তুত আছে। এগুলো দিয়ে এক কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার করা যাবে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আঘাতের পাঁচ মাস না যেতেই ফের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে।