ডেস্ক নিউজ।
ঢাকার একটি শপিং মলে ঘোরাঘুরি করার সময় চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে তেজগাঁও থানা-পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ তাঁকে ধরতে ৩০ জানুয়ারি পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন।
সাজ্জাদের গ্রেপ্তারের পর তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তিনি বলেন, “আমরা কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে আমার জামাইকে বের করব। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।”
ভিডিওতে তামান্না শারমিন আরও বলেন, “আমার জামাই গ্রেপ্তার হয়েছে, এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ১০-১২ দিনের মধ্যে জামিনে বের হবে।” তিনি প্রতিপক্ষকে হুমকি দিয়ে বলেন, “এতদিন আমরা পলাতক ছিলাম, এবার তোমাদের পালা। খেলা শুরু হবে এখন।”
সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে তিনজন বালু ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, সাজ্জাদ যাতে সহজে বেরিয়ে না আসতে পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সাজ্জাদকে চান্দগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তারের পর সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মামলায়ও রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করেছিল, কিন্তু এক মাসের মধ্যে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
গত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকায় পুলিশ সাজ্জাদকে ধরতে গেলে তিনি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান, এতে পাঁচজন আহত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, সাজ্জাদ হোসেন বিদেশে পলাতক শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলীর অনুসারী।