ডেস্ক নিউজ।
বাংলাদেশের শেরপুর, লক্ষ্মীপুর ও পটুয়াখালীসহ কয়েকটি জেলায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোববার (৩০ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। এসব অঞ্চলের শতাধিক গ্রামের মুসল্লিরা আগাম ঈদের নামাজ আদায় করেন এবং উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি পালন করেন।
শেরপুরের সাতটি গ্রামে সকাল ১০টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামাতে ২০০-২৫০ মুসল্লি অংশ নেন। নারী মুসল্লিরাও পর্দার ভেতরে নামাজ আদায় করেন। ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা প্রীতিভোজে অংশ নেন। স্থানীয়দের দাবি, কয়েক বছর ধরে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে তারা ঈদ উদযাপন করছেন এবং প্রতি বছর অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে।
লক্ষ্মীপুরের ১১টি গ্রামেও সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদ উদযাপন করা হয়েছে। জেলার রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। রামগঞ্জের ৪টি ও রায়পুরের ১টি মসজিদেও ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। প্রায় ১,০০০ মুসল্লি নামাজে অংশ নেন। তারা মাওলানা ইসহাক (রা.)-এর অনুসারী এবং গত ৪১ বছর ধরে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছেন।
সবচেয়ে বেশি মানুষ আগাম ঈদ উদযাপন করেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ ২২টি গ্রামে। সেখানে প্রায় ২৫,০০০ মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নেন। সকাল পৌনে ৯টায় জেলার কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহ্সূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ মাঠে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ২২টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, তারা এলাহাবাদ সুফিয়া ও চানটুপির অনুসারী এবং প্রায় ১০০ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
দেশের এসব অঞ্চলে ঈদের দিন সকাল থেকে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল। মুসল্লিরা নতুন পোশাকে ঈদের নামাজ আদায় করেন এবং ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।