হাসিনা পরিবারসহ দেশের ১১টি প্রভাবশালী শিল্পগোষ্ঠীর বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সম্পদ মূল্যায়নের কাজ প্রায় শেষের দিকে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি হিসেবে আগামী মাসেই নিয়োগ দেয়া হবে আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠান।
অর্থপাচারে জড়িত তালিকায় রয়েছে এস আলম, বেক্সিমকো, নাবিল, সামিট, ওরিয়ন, জেমকন, নাসা, বসুন্ধরা, সিকদার এবং আরামিট গ্রুপ। পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে কাজ করছে সিআইডি, এনবিআর ও দুদকের সমন্বয়ে গঠিত ১১টি টিম, যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, পাচারকৃত অর্থ ও সংশ্লিষ্ট সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নির্ধারিত পরিমাণের ভিত্তিতে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হবে।
অন্যদিকে, গভর্নরের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে সাতটি সভা সম্পন্ন করেছে। আদালতের নির্দেশে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার শেয়ার এবং ব্যাংকে থাকা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। তবে দেশের বাইরে চলে যাওয়া অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া সহজ হবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী সতর্ক করেছেন, জনপ্রিয়তা অর্জনের লক্ষ্যে তড়িঘড়ি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে, পূর্ণ তদন্তের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা উচিত। পাশাপাশি তিনি মনে করেন, আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি সমঝোতার পথেও অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।