1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
চরবাসীর প্রতিদিন কাটে টিকে থাকার লড়াইয়ে - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যুবদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ, পদত্যাগ করলেন ৯ ছাত্রদল নেতা ৪৫ বছর ইমামতি শেষে রাজকীয় বিদায়, মসজিদ কমিটির ব্যতিক্রমী আয়োজন কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির নব নির্বাচিত সভাপতি খায়ের,সম্পাদক সাইদুর স্ত্রীকে খুন করে স্বামীর আত্মহত্যা আমাদের কেনা যাবে না-সাতক্ষীরায় হুঁশিয়ারি দিলেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শ্বশুরের হাতে জামাতার শিরশ্ছেদ, খণ্ড-বিখণ্ড দেহ উদ্ধার নওগাঁয় নাতির মরদেহ উদ্ধার, শোক সইতে না পেরে দাদার মৃত্যু মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে সরকার মবকে প্রশ্রয় দিচ্ছে- তারেক রহমান মিডফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা ও দেশজুড়ে সহিংসতার প্রতিবাদে গোবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দৌলতপুরে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুটপাট, মাইক্রোবাসে আগুন, ৩ মোটর সাইকেল ভাংচুর

চরবাসীর প্রতিদিন কাটে টিকে থাকার লড়াইয়ে

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ২৯ জন খবরটি পড়েছেন

রাকিবুল হাসান,, কুড়িগ্রাম।।

কুড়িগ্রাম জেলার বিস্তৃত চরাঞ্চলে এবারও কিছু অঞ্চলে বন্যা শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু রয়ে গেছে তার তীব্র ছাপ। জেলার ১৬টি নদ-নদী আর সাড়ে চার শতাধিক চর জুড়ে বসবাসকারী প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ এখন নতুন করে জীবন গুছিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে ব্যস্ত।

প্রতিবছরের মতো এবারও চরাঞ্চলগুলোতে নদীর পানি হু হু করে ঢুকে পড়েছিল। ডুবে গিয়েছিল ফসলি জমি। অনেকের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন সেই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নতুন করে ঘর তুলছে তারা, বানিয়ে নিচ্ছে ভাঙা নৌকা, আবার বীজ রোপণের প্রস্তুতিও নিচ্ছে কেউ কেউ।

চরাঞ্চলের জীবন সবসময়ই বিচ্ছিন্ন আর কষ্টসাধ্য। মেইনল্যান্ড থেকে দূরে থাকায় অনেক চরেই নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা, শিক্ষা কিংবা যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্যার সময় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এসব গ্রাম। খাবার, পানীয় জল, ওষুধসহ ন্যূনতম প্রয়োজন মেটাতেই তখন হিমশিম খেতে হয় বাসিন্দাদের।

তবুও হাল ছাড়েন না তারা। সকালে নদীতে মাছ ধরা, বিকেলে ক্ষেতে কাজ, আর সন্ধ্যায় পরিবারের সঙ্গে কুয়াশাঘেরা আকাশের নিচে সময় কাটানো—এই নিয়েই চলে তাদের দিনযাপন। বিনোদনের তেমন কিছু নেই, কিন্তু প্রকৃতি যেন এদের পুরস্কার দেয় দুই হাতে। নদীর কুলকুল ধ্বনি, চরজুড়ে ছুটে চলা হাওয়া আর শিশুদের নির্ভেজাল হাসি যেন নতুন আশার সুর বয়ে আনে।

চরের এক বাসিন্দা বলেন, “প্রতি বছরই এই কষ্ট আসে। তবুও আমরা থাকি। নদী আমাদের নেয়, আবার কিছু না কিছু দেয়ও। এখানেই তো আমাদের জন্ম, এখানেই মাটি।”

স্থানীয়রা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছেন, চরাঞ্চলের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, বাঁধ নির্মাণ, চিকিৎসা সুবিধা, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দরকার। নয়তো প্রতিবছরই এইসব মানুষদের বাঁচা মানে কেবল বন্যার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে মাথা তুলে দাঁড়ানো।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews