রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। সর্বশেষ বুধবার রাত ১২টা ১৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৯ বছরের শিশু আরিয়ান আশরাফ নাফির।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে মারা যায় তার বড় বোন, ১৩ বছরের তাহিয়া তাবাসসুম নাদিয়া। দুই ভাইবোনই গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় রাজধানীর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাফির শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
তাদের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আশরাফুল ইসলাম ভোলা জেলার দৌলতখানের বাসিন্দা। সন্তানদের ভালো স্কুলে পড়াতে রাজধানীর উত্তরায় বসবাস করছিলেন তিনি।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬৫ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) মঙ্গলবার দুপুরে জানায়, ঢাকার একাধিক হাসপাতালে এদের মধ্যে ৩১ জন নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। বুধবার রাতে নাফির মৃত্যু সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩২-এ নিয়ে যায়।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে, যেখানে আহত ৪৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। সিএমএইচে রয়েছে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা—১৬ জন নিহত ও ২৮ জন আহত। উত্তরা আধুনিক হাসপাতালেও রয়েছে ৬০ জন আহত এবং ১ জন নিহত।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের অধিকাংশই শিশু। এদের অনেকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, যারা দুর্ঘটনার সময় শ্রেণিকক্ষে অবস্থান করছিল।
মর্মান্তিক এই ঘটনার পর মঙ্গলবার সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে এখনো শোকের ছায়া বিরাজ করছে।