৩৬ জুলাই উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে বামদের বিশৃঙ্খলা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির দাবি, পূর্বঘোষিত সাংস্কৃতিক ও প্রদর্শনীমূলক কর্মসূচি আয়োজনের অনুমতি থাকলেও হঠাৎ করেই প্রশাসন তা বন্ধ করে দিতে বলে, যা তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের প্রচার সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ”আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র, ইতিহাস এবং সংস্কৃতি নিয়ে তিনদিনব্যাপী আয়োজন করছিলাম। কিন্তু কিছু পক্ষের অসহিষ্ণু মনোভাবের কারণে আমাদের প্রদর্শনী ও পোস্টার অপসারণ করতে বাধ্য করা হয়েছে”।
সংগঠনটি আরও দাবি করে, ”প্রশাসনের এ ধরনের আচরণ গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মতপ্রকাশ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেয় এবং সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে যুক্তিভিত্তিক পরিবেশ গড়ে তুলতে চায়।”
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, ক্যাম্পাসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই কিছু সামগ্রী সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থী ও সচেতনমহল এ ঘটনাকে মিশ্র দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন। কেউ কেউ বলছেন, ক্যাম্পাসে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু মতপ্রকাশের অধিকার হরণ কাম্য নয়। অন্যদিকে, কেউ কেউ পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রশাসনের পদক্ষেপকে যৌক্তিক বলেও মন্তব্য করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঢাবি শিক্ষার্থী জানান, ”আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিবিরের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ও মব সৃষ্টি করতে চাচ্ছে একটি চক্র। ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখেই শিবিরের বিরুদ্ধে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা তৈরি করছে তারা।”
প্রসঙ্গত, ৩৬ জুলাই গণচেতনার প্রতীক হিসেবে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উদযাপিত হচ্ছে। ইসলামী ছাত্রশিবির তিনদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী, তথ্যচিত্র, পথনাটক ও আলোচনা সভার আয়োজন করে, যা অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে সাড়া ফেলেছিল।