বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
গত পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮৪টি পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত আরও ১২টি ঘটনায় একই পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছেন।
সম্প্রতি একের পর এক এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর এসেছে। সর্বশেষ ৮ মে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলায় অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজন নিহত হন। দুই দিন আগে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া মহাসড়কে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে মারা যান একই পরিবারের তিনজন। গত ৩০ মার্চ ময়মনসিংহে বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান এক পরিবারের চার সদস্য। এর আগে ২০২৩ সালের জুনে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মারা যান একই পরিবারের ছয়জন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্সে একসঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণের প্রবণতা বাড়ায় এ ধরনের দুর্ঘটনা বাড়ছে। নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, সড়ক অবকাঠামো বিস্তৃত হওয়ায় পরিবারের সবাই একসঙ্গে ভ্রমণে বের হন, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, অদক্ষ চালক, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত তদারকির অভাব এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ। অনেক দুর্ঘটনার পেছনে চালকের চোখে ঘুম বা অতিরিক্ত মানসিক চাপও দায়ী।
পরিসংখ্যান বলছে, চালক ও পরিবহন শ্রমিকদের মৃত্যুও বাড়ছে। ২০১৯ সালে যেখানে ১ হাজার ১৯০ জন মারা গিয়েছিলেন, ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ১৮৮ জনে। যদিও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী চালকদের দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করার কথা নয়, বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না।
বিআরটিএ জানায়, পরিবহন শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণে সরকারের সদিচ্ছা আছে। তবে মালিক-শ্রমিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।