ওয়াহেদুল করিম,পঞ্চগড়
রুবায়েদ বিন আবেদিন আহ্বায়ক এবং খালিদ হাসান মিকুকে সদস্য সচিব করে জুলাই বিপ্লবীদের প্ল্যাটফর্ম ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) পঞ্চগড় জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন, রাফসান রাকীন,মোঃ হাবিবুর রহমান,জুয়েল রানা,আহমাদ তাজনুর হাবীব, মোঃ রিয়াজুল জান্নাত রিয়াদ।
আপ বাংলাদেশ যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন, জিল্লুর রহমান, ফরিদুল ইসবলাম, তানভীর হোসেন,মোঃ আল ইমরান,মুঞ্জিল ইসলাম মুরাদ, মোঃ হাবিবুল্লাহ হাবিব
মোট ৫০ সদস্যের এই কমিটি গঠিত হয়েছে সংগঠনের গভীর পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে। সংগঠনটির পক্ষ বুথেকে জানানো হয়, একটি সুগঠিত ও কার্যকর রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে এই ধরনের কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই কমিটি গঠিত হয়েছে আপ বাংলাদেশের প্রধান সংগঠক নাঈম আহমাদের সুপারিশে এবং অনুমোদন করেছেন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ ও কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরেফিন মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ।
২২ আগস্ট এক বিবৃতিতে বলা হয়,বাংলাদেশের বিদ্যমান দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি, দুর্নীতির রাজনৈতিক অর্থনীতি এবং ক্ষমতা কাঠামোর ভেতর দিয়ে ফ্যাসিবাদের যে পাটাতন কায়েম হয়েছিল, তার অবসান ঘটাতে ছাত্র-জনতার রক্তিম জুলাই গণঅভ্যুত্থান একটি ঐতিহাসিক অধ্যায় রচনা করেছে। তবে মানবিক মর্যাদার পূর্ণাঙ্গ বিকাশ, অর্থনৈতিক আজাদি, সামাজিক সুবিচার ও ন্যায়নীতির প্রতিষ্ঠার লড়াই এখনো অসম্পূর্ণ।
এই প্রেক্ষাপটে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) পঞ্চগড় জেলা আহ্বায়ক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটছে। আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ে ঘোষণা করছি— বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনৈতিক সংস্কৃতির মূল উৎখাত করে বৈষম্যহীন, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ বাংলাদেশ কাজ করে যাবে।
আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান মধ্যম ডানপন্থী (Centre-Right) ধারার আদর্শে দৃঢ়, এবং জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা থেকেই আমরা বাংলাদেশকে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করার অঙ্গীকার করছি। দুর্নীতি, ফ্যাসিবাদ, ধর্মবিদ্বেষ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।
আপ বাংলাদেশ’-এর মূল প্রতিশ্রুতি হলো রাজনীতি শুরু হবে ওয়ার্ড পর্যায় থেকে, থামবে না কেবল কেন্দ্রে গিয়ে। সংগঠনের নেতারা বলেন, লক্ষ্য শুধু নেতৃত্ব পরিবর্তন নয়, বরং নৈতিকতা ও নীতির পরিবর্তন। জনগণের প্রতিনিধি হবেন জনগণের সহযাত্রী। শাসকের ভূমিকায় নয়; তরুণ, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠ থাকবে রাজনীতির কেন্দ্রে।
তারা আরো বলেন, প্রকৃত রাজনৈতিক সংস্কার আনতে হলে শুধু মুখ বদলালেই হবে না, পরিবর্তন আনতে হবে মনোভাব, কাঠামো ও অংশগ্রহণের পদ্ধতিতে। সেই নতুন কাঠামো গড়ে উঠবে সরাসরি জনগণের অংশগ্রহণে, দায়িত্বশীলতার ভিত্তিতে এক ভিন্নধর্মী রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে।