তারিম আহমেদ ইমন, নওয়াপাড়া (যশোর) ।
অভয়নগর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের মোহরার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সেবা গ্রহীতার নিকট অবৈধভাবে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা চাওয়ার প্রতিবাদ করায় সাব রেজিস্ট্রার ইকবাল হুসাইনকেও লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটেছে। বুধবার বিকালে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী সেবা গ্রহীতা আঁখি এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি নওয়াপাড়া বাজারে সার ও কয়লা ব্যবসা করেন। ঘটনার দিন বুধবার দুপুরে সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দলিল সংক্রান্ত কাজ শেষে বেরিয়ে যান তিনি। পথিমধ্যে ওই কার্যালয়ে কর্মরত মোহরার রফিকুল ইসলাম তার সঙ্গে দেখা করেন এবং চারটি দলিলের জন্য চার হাজার টাকা দাবি করেন।
এসময় তিনি মোহরারকে সঙ্গে নিয়ে সাব রেজিস্ট্রার ইকবাল হোসেনের কার্যালয়ে গিয়ে টাকা চাওয়ার কারণ জানতে চান। সেবা গ্রহীতার নিকট অবৈধভাবে কেনো টাকা চাওয়া হয়েছে এর কারণ জানতে চাইলে মোহরার রফিকুল সাব রেজিস্ট্রারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে লাঞ্ছিত করেন। সেবা গ্রহীতা আরো বলেন, এই প্রথম একজন সাব রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা সরকার নির্ধারিত টাকা ছাড়া দলিলের কাজ সম্পন্ন করেছেন। অথচ ঘুষ চাওয়ার কারণ জানতে চেয়ে তিনি তাঁর অধীনস্ত কর্মচারীর নিকট লাঞ্ছিত হলেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। মোহরার রফিকুলের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
অভিযুক্ত মোহরার রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নকল নবিশদের জন্য সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে খরচের জন্য কিছু টাকা নেওয়া হয়। আর সাব রেজিস্ট্রার স্যারের সঙ্গে আমার তেমন কিছু ঘটেনি। আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার ইকবাল হুসাইন বলেন, আমি যোগদানের পর দুর্নীতিমুক্ত কার্যালয় ঘোষণা করেছি। মোহরার রফিকুল ইসলাম একজন সেবা গ্রহীতার নিকট কেনো টাকা চেয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত হয়ে আমার সঙ্গে খরাপ আচরণ করেন। তাঁর এধরণের কর্মকান্ড জন্য দাপ্তরিকভাবে কারণ দর্শাণোর নোটিশ প্রদানে প্রক্রিয়া চলমান।