আফগানিস্তানের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয়ের পর নতুনত্বে জেগেছে বাংলাদেশের সুপার ফোরে ওঠার স্বপ্নতরী। কিন্তু সেই তরীর চারপাশে এখনও অনিশ্চয়তার ঘন কুয়াশা। তাই তো, তীর্থের কাকের মতো শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে তাকিয়ে লাল-সবুজেরা। সেই ম্যাচই এখন লিটন দাসদের ভাগ্যলিখনের কলম।
বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে বাংলাদেশ। অন্যদিকে টেবিল-টপার লঙ্কানরা। আর তিনে আফগানরা। সব ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ঝুলিতে ৪ পয়েন্ট, তবে নেট রানরেট -০.২৭। বিপরীতে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে লঙ্কানদের রানরেট বেশ উজ্জ্বল, +১.৫৪। আর আফগানদের নেট রানরেট +২.১৫ রীতিমত লাল-সবুজ শিবিরকে চোখ রাঙাচ্ছে।আপাতদৃষ্টিতে সমীকরণটা সহজ।
যদি শ্রীলঙ্কা জেতে, তবে বাংলাদেশের জন্য সুপার ফোরের স্বর্ণদ্বার খুলে যাবে। কিন্তু লঙ্কানরা যদি হারে, তখন একেবারে অন্যদিকে হিসাবের খাতা ঘুরে যেতে পারে। তবুও কাগজে-কলমে সুযোগটা টিকে থাকবে বাংলাদেশের।
অবশ্য, তাতে আফগানিস্তানকে একপ্রকার অলৌকিক কিছুই করতে হবে। যদি আগে ব্যাট করে আফগানরা ১৭০ রান তোলে, তবে শ্রীলঙ্কাকে ১০০ রানের মধ্যে অলআউট করতে হবে। আর যদি আগে ব্যাট করে ১৭০ তোলে লঙ্কানরা, তাহলে আফগানদের মাত্র ১১ থেকে ১২ ওভারের মধ্যেই সেই রান তাড়া করতে হবে।
কিন্তু এত বড় ব্যবধানে জেতা যে কতটা দুঃসাধ্য, তা বর্ণনার প্রয়োজন নেই। রশিদ খান কিংবা মোহাম্মদ নবিরা হয়তো ম্যাচ জিতিয়ে দিতেই পারেন, কিন্তু শ্রীলঙ্কার মতো পরিণত ও পরাক্রান্ত দলের বিপক্ষে এমন প্রলয়ংকরী জয় আদ্যো সম্ভব কিনা, তা সময়ই জবাব দেবে।
তাই-তো বাংলাদেশের এখন একমাত্র ভরসা, শ্রীলঙ্কার জয়। ভিন্ন চিত্র হলেই সুপার ফোরে ওঠার স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্নে রূপ নিতে পারে। সেক্ষেত্রে ভাগ্য সহায় হলেই কেবল উতরে যেতে পারে টিম টাইগার্স।