জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ আর কক্সবাজারের ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের পেছনে অর্থ ব্যয় করতে চায় না। বরং এই অর্থ মিয়ানমারে ব্যবহার করে তাদের নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ করে দিতে হবে।
২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে আয়োজিত ‘বিশ্ব শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয় ব্যবস্থা: কী ভুল হয়েছে এবং কীভাবে এটি ঠিক করা যায়’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ ফেরত দিন।” আলোচনার মূল আয়োজক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউ। এতে বাংলাদেশসহ পানামা, লাইবেরিয়া, কসোভোসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও অ্যাডভোকেসি গ্রুপ অংশ নেয়।
খলিলুর রহমান বলেন, গত আট বছরে রোহিঙ্গাদের পেছনে বিশ্ব ৫০০ কোটি ডলারের বেশি ব্যয় করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় দাতা হলেও বাংলাদেশও বহুমুখীভাবে বিশাল ব্যয় বহন করছে। কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যথেষ্ট রাজনৈতিক উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
তিনি জানান, রাখাইনে ইতোমধ্যে কিছু রোহিঙ্গা ফের গ্রামে ফিরেছে, স্থানীয় প্রশাসনে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং আরাকান আর্মি নতুন মসজিদ নির্মাণ করেছে। এর মধ্যেই রাজনৈতিক সমাধানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, কক্সবাজার শিবিরে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে, যাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় টেকসই সমাধান জরুরি।
তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘে রোহিঙ্গা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ব সম্প্রদায় যদি রাজনৈতিকভাবে বিনিয়োগ করে, তবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও টেকসই সমাধান সম্ভব হবে।