ঢাকা, সোমবার:
আজ সোমবার সারাদেশে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায় উদযাপন করছে লক্ষ্মীপূজা—ধন-সম্পদ ও ঐশ্বর্যের দেবী মা লক্ষ্মীর আরাধনার দিন। শারদীয় দুর্গোৎসবের পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে পালিত এই উৎসবকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নামেও চেনে।
হিন্দু ধর্মমতে, দেবী লক্ষ্মী ধন, সৌন্দর্য, আলো, সাহস ও প্রাচুর্যের প্রতীক। দ্বিভূজা এই দেবীর বাহন পেঁচা, আর তাঁর হাতে থাকে শস্যভাণ্ডার—যা কৃষি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। বাংলার বাইরে তাঁকে সাধারণত চতুর্ভূজা কমলে-কামিনী রূপে দেখা যায়।
আজ সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে উপবাস ব্রত পালন করছেন নারীরা। ধানের শীষ, কাঁচা সুপারি, কলাপাতা, কলাগাছের খোল ও চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি আলপনায় সাজানো হয়েছে গৃহের আঙিনা। মঙ্গলঘট ও ধানের ছড়ার সঙ্গে মেঝেতে আঁকা হচ্ছে মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ।
পূজা শেষে অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়নের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, আশ্বিন মাসের উজ্জ্বল পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষ্মী বিষ্ণুলোক থেকে নেমে এসে পৃথিবীর ঘরে ঘরে বিচরণ করেন এবং প্রশ্ন করেন, “কে জেগে আছো?”—এই থেকেই উৎসবটির নাম কোজাগরী পূজা। ভক্তদের ধারণা, দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট দূর হয়, সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, রামসীতা মন্দির, পঞ্চানন্দ শিব মন্দির, গৌতম মন্দির, রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দির, রাধা মাধব বিগ্রহ মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে পূজা ও আরতি।
এছাড়া পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, সূত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ ও লক্ষ্মীবাজার এলাকায় ঘরোয়া পরিবেশে ভক্তরা আয়োজন করেছেন বিশেষ পূজার অনুষ্ঠান।