কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অধীনে ১১–২০ গ্রেডের শূন্য পদে জনবল নিয়োগের কার্যক্রম
অনিবার্য কারণবশত সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) নিয়োগ কমিটির
এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাতটি পদের ১১৫টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৯ জন চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু পরীক্ষার ভোরে কুষ্টিয়া শহরের একটি বাড়িতে ২৫–৩০ শিক্ষার্থীর রহস্যজনক প্রবেশ ও পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে বের হয়ে আসার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ঘিরে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
শনিবার দুপুরে একদল বিক্ষুব্ধ যুবক প্রশ্নফাঁস, ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন
কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা “বৈষম্য নয়, যোগ্যতার মূল্যায়ন চাই”সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শুক্রবার অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে অবিলম্বে নতুন তারিখে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হোক।

এ ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেনকে চিঠি
দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়, ২৪ অক্টোবর কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় ও এর নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ১১–২০ গ্রেডের ১১৫টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত বিধি অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সুষ্ঠুভাবে ১৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, কুষ্টিয়া শহরের একটি বাড়ি থেকে কয়েকজন পরীক্ষার্থী বের হচ্ছেন।
দাবি করা হচ্ছে, বাড়িটি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হোসেন ইমামের পৈত্রিক বাড়ি।
ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এরপরই নিয়োগ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নিয়োগ কমিটি।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ার এই নিয়োগ পরীক্ষা ছিল সাম্প্রতিক সময়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যতম বৃহৎ নিয়োগ প্রক্রিয়া,
যেখানে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭ হাজার।