বাঘারপাড়ার কেষ্টপুর গ্রামে ২২ অক্টোবর শুক্রবার সমন্বিত ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নারিকেলের ফলন বৃদ্ধি শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ নারিকেলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমন্বিত ফসল ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রকল্প,আইডি নং ০২৬ পিআইইউ-বিএআরসি,এনএটিপি ২য় পর্যায় এর অর্থায়নে ,সোসাইটি ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফর দি রুরাল এন্ড আরবান এরিয়া (সার্ডা)র বাস্তবায়নে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বাঘারপাড়ার বন্দবিলা ইউনিয়নের ও সাতক্ষিরা অঞ্চলের ৬০ জন নারিকেল চাষী অংশ গ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের (আরএআরএস)ফল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশরাফুল আলম এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট গাজীপুর এর উদ্যানতত্ত¡ গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কোঅর্ডিনেটর (কোকোনাট আইসিএম প্রোজেক্ট) ড. বাবুল চন্দ্র সরকার প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে নারিকেলের ফলন বৃদ্ধির গবেষনা কর্মকান্ডে বছরে প্রতিটি ধরন্ত নারিকেল গাছের গোড়ায় যে পরিমান জৈব ও রাষায়নিক সার ২কিস্তিতে ব্যাবহার করা হয়েছে এবং ২ কিস্তিতে যে সকল মাকড় নাশক ও কীট নাশক গাছের মাথায় স্প্রে করে যে সুফল পাওয়া যাচ্ছে তার বিস্তারিত বর্ননা দিয়ে কৃষক প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাইদঘাট কৃষি প্রযুক্তি বাস্তবায়ন কেন্দ্রের সভাপতি লক্ষ্মন চন্দ্র মন্ডল, সেক্রেটারী গোপীকান্ত সরকার, সাতক্ষীরা অঞ্চলের আঃ আজিজ, মিজানুর রহমান ও কেষ্টপুরের রওশন আক্তার।
নারিকেল গাছের এ গবেষনার আওতায় বাঘারপাড়ার বন্দবিলা ইউনিয়নের কেষ্টপুেরর ১৬ জন চাষীর,গাইদঘাটের ৯ জন মোট ২৫ জন চাষীর এবং সাতক্ষীরার বাকাল ও কলারোয়া অঞ্চলের ১১ জন চাষীর সর্বমোট ২০১টি গাছের উপর দু‘বছর ধরে এই নারিকেলের ফলন বৃদ্ধির গবেষনা কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে।
সারা দেশের নারিকেল চাষীর দোর গোড়ায় এই গবেষনা কর্মকান্ড পৌঁছে দেয়ার জন্য নারিকেলের গবেষনার উপর ছোট পুস্তিকা/হাত বই প্রকাশ করে সকল কৃষকের হাতে পৌছানোর জন্য কৃষকদের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়।
বিশেষ অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানে যশোর আরএআরএসের কীটতত্ত¡ বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ইসহাকুল ইসলাম ইছাক,সার্ডা এর প্রজেক্ট ইনভেস্টিগর কৃষিবিদ মোঃ নাসির, বৈজ্ঞানিক সহকারী আঃ ছালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।