ইলিয়াস হোসাইন
না বলে বাড়িতে যাওয়া নিয়ে এগারো বছরের এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে মির্জাগঞ্জ আহমাদাবাদ ইয়ারিয়া ইসলামিয়া কমপেক্স হাফিজি মাদ্রাসায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার শিশু মো. বাইজিদ (১১) মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন এর মোঃ বারেক রাড়ীর ছেলে এবং ওই মাদ্রাসার হাফিজি বিভাগের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. আহসান উল্লাহ।
শিশু বাইজিদ জানায়, মাদ্রাসা পালানো নিয়ে আমাকে কাঁচা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাড়ভাঙ্গা জখম করেন শিক্ষক মো. আহসান উল্লাহ। পরে মো. আহসান উল্লাহ একটি কক্ষে আটকে রেখে ঔষধ খেতে দেন । কিছুক্ষণ পর হাত ফুলে উঠলে শিক্ষক মো. আহসান উল্লাহ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক আহসান উল্লাহ বলেন আমার ছাত্র আমি পিটিয়েছি তাতে আপনাদের কি ও আমার সম্পর্কে ভাতিজা হয়। আমি শিক্ষক হিসেবে শাসন করতেই পারি।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শামসুল ইসলাম সোহেল জানান, রাতেই ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আহত অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসনে। এক্সরে করার পরে হাড় ভেঙ্গে গেছে দেখে সাময়িক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে । আগামীকাল তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেলা শহরে অর্থোপেডিক বিভাগের ডাক্তারের কাছে পাঠানো হবে। তবে সেরে উঠতে সময় লাগবে।