ডেস্ক রিপোর্ট।।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আলমগীর বলেছেন, সময়মতো সংসদ নির্বাচন না হলে ইসিকে সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য দায়ী হতে হবে। তাই কোনো একটা দল না এলেও নির্বাচন করতে হবে। রাজনৈতিক সংলাপে বেশিরভাগ দল ইভিএমের পক্ষে ছিলো বলেও দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন তিনি। বিএনপি না এলেও নির্বাচন হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারো নাম উল্লেখ করবো না। আমরা বলবো, কোনো দল এলেও নির্বাচন হবে, না এলেও হবে।
তিনি বলেন, কোনো একটি দলকে নির্বাচনে আনা বা না-আনার দায়িত্ব ইসির নয়। সংবিধানের কোথাও আমাদের এই দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
আলমগীর বলেন, সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে, সংবিধানে এ কথা বলা হয়নি। কোনো দলের সক্ষমতা না-ও থাকতে পারে। আমাদের দিনক্ষণ গুনে কিন্তু নির্বাচন করতে হবে। তবে, এখনো তো এক বছর সময় আছে, আশা করছি তারা আসতেও পারে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন তিনি। বিএনপি না এলেও নির্বাচন হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারও নাম উল্লেখ করব না। আমরা বলব, কোনো দল এলেও নির্বাচন হবে, না এলেও হবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো দলকে নির্বাচনে আনা বা না আনার দায়িত্ব ইসির নয়। সংবিধানের কোথাও তাদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
ইভিএমের কারণে আরও কিছু দল যদি ভোটে না আসে, তাহলে এই সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, সংবিধানে বলা আছে যারা আগ্রহী তাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে, এ কথা কিন্তু বলা হয়নি। কোনো দলের হয়তো সক্ষমতা নাও থাকতে পারে। আমাদের দিনক্ষণ গুনে কিন্তু নির্বাচন করতে হবে। কোনো দলের বা একাধিক দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থাকতে পারে। অপেক্ষা করেন, এখনও তো এক বছর সময় আছে, আসতেও পারে।
তিনি জানান, বর্তমানে সক্ষমতা আছে ৭০ থেকে ৮০টা আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করার। কতটা হবে তখন বলা যাবে। দেখা গেল, মেশিন হয়েছে বা সক্ষমতা নেই, তাহলে ৭০-৮০টাও হতে পারে, আবার ৫০টাতেও হতে পারে। তবে ১৫০টির ওপরে হবে না। মিনিমাম ধরে রাখেন ৭০-৮০টা।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা ইভিএমে কারিগরি সহায়তা দিতে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। এ ছাড়া অন্য কোনো ভূমিকায় রাখার সুযোগ নেই। যেখানে প্রয়োজন আছে, সেখানে ডাকলে চলে আসবে। এত লোকবল তো তাদের নেই। পুলিশ, বিজিবি, আনসারের মতো তো প্রতি কেন্দ্রে তাদের রাখা সম্ভব নয়। উত্তেজিত জনতাকে কন্ট্রোল করতে না পারলে সেনার সহায়তা চাওয়া হয়। সেটাই নিয়ম। সেটাই আইনে বলা আছে।