মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ বাগেরহাট প্রতিনিধি।।
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সমুদ্রসীমায় ইলিশ আহরন ও বিপনন নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রনালয়।
এ নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করার লক্ষ্যে নৌ-বাহিনী, কোস্ট গার্ড, পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি আকাশে বিমান বাহিনীর টহলের নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে দেশি-বিদেশি ট্রলার বাংলাদেশী জলসীমায় প্রবেশ করে নির্ধারিত এলাকা থেকে মাছ ধরতে না পারে সে ব্যাপারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ২২ দিন সাগর মোহনাসহ শরীয়তপুরের পদ্মা, মেঘনা-ষাটনল আলেকজান্ডার, ভোলা, শাহবাজপুর, তেঁতুলিয়া, বাউফল, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক, সুন্দরবনসংলগ্ন বলেশ্বর ও পানগুছি নদীর মোহনায় ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোকেও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন হাওলাদার জানান, সরকারী নির্দেশনা আমরা সবসময় মেনে চলি। বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের জলসীমায় মাছ ধরা বন্ধ না করায় ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে অবাধে মাছ ধরে নিয়ে যায়। তবে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময় ভারতীয় জেলেরা যাতে মাছ ধরে নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য কোষ্টগার্ড ও নৌবাহিনীর নিয়মিত টহল জোরদার করার দাবী জানান।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, মা ইলিশের ডিম ছাড়ার সময়কে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। জেলেদের সচেতনতা বাড়াতে এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরন করা হয়েছে। আজ থেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মৎস্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কোষ্টগার্ড মংলা পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার অপারেশন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মহিউদ্দিন জামান জানান, নিষেধাজ্ঞা সহ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় কোষ্টগার্ডের টহল সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। তবে, ভারতীয় জেলেরা নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।