আজ শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন কর্মসূচি।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তরিকুল ইসলামের কবর জিয়ারত ও দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ১১টায় লালদিঘির পাড় দলীয় কার্যালয়ের সামনে রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দিনটি উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজীবন সংগ্রামী তরিকুল ইসলাম নিষ্ঠুর নির্যাতন সহ্য করেও কঠিন সিদ্ধান্তে অটুট থাকতেন। তাঁর রাজনীতি দলীয় নেতাকর্মীকে সবসময় অনুপ্রেরণা জোগাবে।
দিনটি উপলক্ষে যশোরের বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় খাবার এবং বস্ত্র বিতরণ, স্কুলছাত্রীদের মধ্যে বাইসাইকেল বিতরণ, এলাকাভিত্তিক গণভোজ, রক্তদান, স্থানীয় পত্রিকায় তরিকুল ইসলাম স্মরণে বিশেষ সংখ্যা বের করবে যশোর জেলা বিএনপি। স্মরণসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও।
দিনটি উপলক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দরিদ্র নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। বুধবার (৩ নভেম্বর) সকালে যশোর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ১০ জনকে এই সেলাই মেশিন দেওয়া হয়।
এসময় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর রাজধানীর অ্যাপলো হাসপাতালে (বর্তমান এভারকেয়ার) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর যশোরে জন্মগ্রহণ করেন তরিকুল ইসলাম। পিতা আবদুল আজিজ ছিলেন একজন ব্যবসায়ী, মাতা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। তরিকুল ইসলামের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় ছাত্রজীবনেই। তিনি বামপন্থী ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।