খান কে এম শরাফত উদ্দীন বাঘারপাড়া থেকে।
বাঘারপাড়ায় প্রতি হিংসায় মার্কেটের সামনে রাস্তার উপর আবার মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মার্কেট নির্মাণের কাজ বন্ধের দাবিতে ডিসিসহ বিভিন্ন দপ্তরে ব্যবসায়ীরা আবেদন জানিয়েছেন।
বাঘারপাড়া উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে রাস্তার পশ্চিম পাশে কোটি কোটি টাকা মূল্যের দুই তলা মার্কেট রয়েছে। এ মার্কেটে দু’টি ব্যাংক, একটি ক্লিনিকসহ দেড় শতাধিক দোকান থাকা স্বত্তেয় যাত্রী ছাউনি নির্মাণের নামে একই মার্কেকের সামনে থাকা সামান্য একটু জমিতে আবার মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়টা গোটা বাঘারপাড়া উপজেলা বাসির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
এনিয়ে গোটা বাজার ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যৎ চিন্তা ভাবনা করেই এসব ঘর মালিকরা রাস্তার জমি ছেড়ে দিয়ে তাদের মার্কেট তৈরি করেছেন। কিন্তু আজ ওই জমিতে শতাধিক ব্যবসায়ীর দাবী বিবেচনা না করেই সেখানে মার্কেট নির্মাণ করছেন বাঘারপাড়া পৌরসভা ।
মার্কেট নির্মাণ করতে সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে কংক্রিটের কলাম । এর ফলে নতুন স্থাপনার কারনে পূর্বের নির্মিত কয়েক কোটি টাকার মার্কেট পেছনে পড়ে সৌন্দর্য নষ্ট হবে। এর আগে যাত্রী ছাউনী নির্মাণের কথা বলে একটি গাছ কেটে ফেলার কথা বলে সেখান থেকে ৭টি গাছ কর্তন করা। এসব গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে একধিক দৈনিকে রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও তাতে তেমন কোন ফলাফল দেখতে পাননি ভুক্তভোগীরা।
মার্কেটের মালিকদের দাবি, আরএস রেকর্ড অনুযায়ী বাঘারপাড়ার চৌরাস্তা সংলগ্ন রাস্তার জমির মালিক সওজ বিভাগ। কিন্তু স্থানীয় পৌরসভা জেলা পরিষদের যোগসাজশে সেখানে যাত্রী ছাউনির নামে মার্কেট নির্মাণ করছে। মুখে যাত্রী ছাউনির কথা বলা হলেও সেখানে কংক্রিটের কলাম করে দোকানপাট নির্মাণ করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ী ও মালিক পক্ষের দাবী।
বিষয়টি জানতে কথা হয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদের সাথে, তিনি বলেন ব্যবসায়ীদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বৃহস্পতিবার সরেজমিনে লোক পাঠানো হবে। এছাড়াও সড়কের জমিতে অন্য কারো স্থাপনা করার সুযোগ নেই, বিষয়টি তদন্দ করে দেখা হবে।
যশোরের জেলা প্রশাসক মো: তমিজুল ইসলাম খান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাঘারপাড়া পৌর মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চুকে বার বার মুঠো ফোনে চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এদিকে জানা গেছে,আজ নতুন স্থাপনা নির্মাণ স্থগিত করা জন্য আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন।