আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, কংগ্রেস এমপি ধীরজ সাহুর বাড়ি, একাধিক সংস্থা এবং অফিস থেকে ৩৫৪ কোটি রুপি উদ্ধার হয়েছে গত আট দিনে। আয়কর কর্তারা সন্দেহ করছেন, আরও অর্থ বা স্বর্ণালংকার মিলতে পারে। তাই তল্লাশি এখনই বন্ধ করতে চাচ্ছেন না তারা।
এবার সোনার ‘ভান্ডারের’ খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডে সাহুর লোহারডাগার বাসভবনে সেই ভান্ডারের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে মাটির নীচে সোনা, রুপো-সহ মূল্যবান ধাতু এবং গয়না লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আর সেই ‘ভান্ডারের’ খোঁজে উন্নত মানের যন্ত্র ‘গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার’ (জিপিআর) নিয়ে এসে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সাংসদের রাঁচীর বাড়িতেও মাটির নীচে কোনও সম্পদ লুকোনো আছে কি না, তা চিহ্নিত করার জন্য এই জিপিআর যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
বুধবার থেকেই এমপি’র লোহারডাগার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর কর্মকর্তারা। তাঁদের সঙ্গে সাহু পরিবারের তিন সদস্যও রয়েছেন। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, যে বিপুল পরিমাণ টাকা সাহুর বাড়ি, অফিস এবং সংস্থা থেকে উদ্ধার হয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে, এই সম্পদের শেষ এখানেই নয়। তাই মাটির নীচেও কোনও সম্পদ লুকোনো আছে কি না, তা পরখ করে নিতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, শুধুমাত্র ৩৫৪ কোটি রুপিই উদ্ধার হয়েছে উড়িষ্যার বোলাঙ্গিরের অফিস থেকে। ন’টি আলমারিতে ঠাসা ছিল সেই রুপি। বাকি যে রুপি উদ্ধার হয়েছে সেগুলি উড়িষ্যা এবং ঝাড়খণ্ডে সাহুর অন্য অফিস থেকে। যদিও সরকারি সূত্রে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ বলা হয়েছে ৩৫৪ কোটি রুপি। তবে বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, উদ্ধার হওয়া রুপির পরিমাণ সাড়ে ৪০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে গিয়েছে।আমাদের সময়ডটকম