নওয়াপাড়া পৌর (যশোর) প্রতিনিধি। অভয়নগরে আটক হওয়া চার ট্রাক সার ছাড়িয়ে নিতে চাপ ও চলে বিভিন্ন ধরণের দেন দরবার। অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আটকের তিনদিন পর সার কেলেঙ্কারীর অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। শুক্রবার রাতে উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার প্রসেন মন্ডল
বাদি হয়ে ১১জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হচ্ছেন, বরিশালের উজিরপুরের তানিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক ভবতোষ সমাদ্দার,নওয়াপাড়া ষ্টেশন বাজারের মিতা এন্টারপ্রাইজের মো. মাহাবুব, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার জুয়েল ট্রেডার্সের মালিক শাহাবুদ্দিন, ঝালকাঠি সদরের বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক নাজমুল আলম নাবিল, নওয়াপাড়া ষ্টেশন বাজারের এসএস ট্রান্সপোর্টের মালিক মো. বাবু রাব্বি ছানি, রাজবাড়ী সদরের রাজ্জাক ট্রেডার্সের মালিক মো. আবদুল ওহাব, চাঁপাই
নবাবগঞ্জের শীবগঞ্জের বন্ধন ট্রেডার্সের মালিক মো. মকিব উদ্দিন, নওয়াপাড়া ষ্টেশন বাজারের সাদিয়া ট্রান্সপোর্টের মালিক মনিরুজ্জামান, নাটোর সিংড়ার মেসার্স আবু বক্কার সিদ্দিকীর মালিক এএফএম মাহাবুব, রাজশাহীর দূর্গাপুরের এসএস এন্টারপ্রাইজের মালিক কামাল উদ্দিন, নাটোর সিংড়ার আশুতোষ কুমার সাহা।
প্রকাশ্য যে, গত বুধবার রাতে চারটি ট্রাকসহ ১হাজার ৭শ’ ৬০ বস্তা ডিএপি সার আটক করা হয়। আটকের পর কাগজপত্র দেখে জানা যায়, বরিশালের উজিরপুরের তানিয়া এন্টারপ্রাইজের ৪শ ৪০ বস্তা সার, ঝালকাঠি সদরের
বিসমিল্লাহ ষ্টোরের ৪শ ২০বস্তা, চাঁপাই নবাবগঞ্জের বন্ধন ট্রেডার্সের ৪শ ৫০বস্তা, রাজশাহী দূর্গাপুরের এসএস
এন্টারপ্রাইজের ৪শ ৫০বস্তা ডিএপি সার চারটি ট্রাকে লোড করা রয়েছে।
অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলি খাতুন জানান, নওয়াপাড়া থেকে সারগুলো বোঝাই করে ঝালকাঠি যাওয়ার কথা ছিল। তবে সারগুলো ঝালকাঠি না নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছিল। আটকের পর তিনি দীর্ঘ সময় সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন। কাগজপত্র সঠিক না পাওয়ায় ও অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘদিন থেকে বিসিআইসি ডিলার ও একটি চক্র সরকারি বরাদ্দের নন ইউরিয়া সার বরাদ্দকৃত এলাকায় না নিয়ে সরকারি মূল্যের চেয়েও বস্তা প্রতি ৩ থেকে ৪শ’ টাকা হারে বেশি দামে বিক্রি করে আসছে। কৃষকরা সেই সার সরকারি মূল্যে কিনতে না পেরে বেশি দামে কিনে তারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।