ডেস্ক নিউজ।
মালয়েশিয়ার মাই সেকেন্ড হোম (MM2H) কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত ৩,৬০৪ জন বাংলাদেশি অনুমোদন পেয়েছেন, যা গত ৭ বছরে প্রায় ২৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি মন্ত্রী দাতুক সেরি টিয়ং কিং সিং সংসদে এ তথ্য জানান।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৫৮,৪৬৮ জন এই কর্মসূচির আওতায় অনুমোদন পেয়েছেন। এর মধ্যে ৫৭,৬৮৬ জন আগের নীতির আওতায় এবং ৭৮২ জন নতুন নীতির অধীনে অনুমোদন পেয়েছেন।
মন্ত্রী টিয়ং জানান, নতুন নীতির আওতায় ৩১৯ জন মূল আবেদনকারী এবং ৪৬৩ জন ডিপেন্ডেন্ট অনুমোদন পেয়েছেন। নতুন শর্তের ভিত্তিতে ২৩৩.৮ মিলিয়ন রিঙ্গিত স্থায়ী আমানত এবং ২২২ মিলিয়ন রিঙ্গিত রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ এসেছে।
এর আগে, ২০২৪ সালের জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী, ৫৬,০৬৬ জন সক্রিয় সেকেন্ড হোম পাসধারী ছিলেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪,৭৬৫ জন চীনের নাগরিক। এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়ার ৪,৯৪০ জন, জাপানের ৪,৭৩৩ জন এবং বাংলাদেশের ৩,৬০৪ জন এই কর্মসূচির আওতায় ছিল।
২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত নতুন নির্দেশিকায় এই কর্মসূচির জন্য তিনটি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়েছে – সিলভার, গোল্ড এবং প্লাটিনাম। পাশাপাশি, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের জন্য নতুন ক্যাটাগরি সংযোজন করা হয়েছে।
নতুন নীতির আওতায়, শুধুমাত্র মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা দেশের নাগরিকরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স হতে হবে ২৫ বছর এবং প্রতি বছর অন্তত ৯০ দিন মালয়েশিয়ায় থাকতে হবে।
প্লাটিনাম ক্যাটাগরির জন্য ১০ লাখ মার্কিন ডলার, গোল্ড ক্যাটাগরির জন্য ৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং সিলভার ক্যাটাগরির জন্য ১.৫ লাখ মার্কিন ডলার স্থায়ী আমানত থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া, আবেদনকারীদের ৬ লাখ থেকে ২০ লাখ রিঙ্গিত মূল্যের সম্পত্তি কিনতে হবে, যা তাদের ভিসার ক্যাটাগরির ওপর নির্ভর করবে।