1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
যে সব কারণে সিয়াম ভঙ্গ হয় না - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফেনীর সোনাগাজীতে পরিত্যক্ত ঘর থেকে অস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার দৌলতপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক হয়নি: এনসিপির নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী শেখ পরিবারকে ‘চোর-ডাকাত’ বললেন জামায়াতের শামীম সাঈদী জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণ জামায়াত ভণ্ড ইসলামী পার্টি: ফটিকছড়িতে হেফাজত আমিরের বিস্ফোরক মন্তব্য জাবিতে জুলাই হামলায় জড়িত ৭৩ শিক্ষার্থীর সনদ বাতিল ফেনীতে দুই রোহিঙ্গা শরণার্থী কে পাচারের চেষ্টাকালে দালাল গ্রেপ্তার ৭ রান দূরে থেমে গেল ইংল্যান্ড, সিরাজে উল্লাসে ভারত ভুয়া ‘আহত’ পরিচয়ে সহায়তা নিতে আসায় জনরোষের মুখে আওয়ামীলীগ কর্মী

যে সব কারণে সিয়াম ভঙ্গ হয় না

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৯৯ জন খবরটি পড়েছেন

ইসলামের প্রাণকেন্দ্র সৌদি আরবের মক্কায় এবার পবিত্র রমজান মাসের শুরু তথা প্রথম রোজার দিন হতে পারে আগামী শনিবার (১ মার্চ) বা রোববার (২ মার্চ)। বিষয়টা নির্ভর করছে চাঁদ দেখার ওপর। অন্যান্য দেশে বিশেষ করে পশ্চিম গোলার্ধে এবার রমজান শুরু হতে পারে মক্কার আগেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসকে আল্লাহর মাস বলেছেন। যে বান্দা রমজান মাসকে নিজের মাস মনে করে সময়কে কাজে লাগাবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে কয়েকভাবে পুরস্কৃত করবেন। বিভিন্ন কারনে রোজাদারদের পবিত্র এই রমজানের রোজা নষ্ট হতে পারে। তবে যে কারনে রোজা নষ্ট বা ভঙ্গ হয় না সেটা নীচে উল্লেখ করা হলো-

১. ভুলক্রমে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে ফেললে সিয়াম ভঙ্গ হয় না। এরূপ কারো ঘটলে মনে পড়ার সাথে সাথে বিরত হবে এবং সিয়ামে বহাল থাকবে। তার জন্য কাযা ও কাফফারা কিছুই নেই।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

إِذَا نَسِيَ فَأَكَلَ وَشَرِبَ فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ فَإِنَّمَا أَطْعَمَهُ اللَّهُ وَسَقَاهُ

“যে ব্যক্তি সিয়াম অবস্থায় ভুলক্রমে কিছু খেয়ে বা পান করে ফেলে সে যেন তার সিয়াম পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহই তাকে খাইয়েছেন ও পান করিয়েছেন।” [বুখারি হাদিস নং ১৯৩৩, মুসলিম, হাদিস নং ১১৫৫]

সূর্য অস্তমিত গেছে এই ধারণা করে ভুলক্রমে কেউ যদি ইফতার করে ফেলে, পরে বুঝতে পারে যে, সূর্য ডুবে নি, তাহলে সে তাৎক্ষণিক পানাহার থেকে বিরত হবে। অত:পর সূর্য অস্ত গেলে ইফতার করবে। তার রোযা বিশুদ্ধ হবে। কোন অসুবিধা হবে না। কেননা আল্লাহ বলেছেন,

رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا

“হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা যদি ভুল করে ফেলি বা করতে ভুলে যাই, তবে আমাদের পাকড়াও করো না”। [সূরা বাকারা: ২৮৬]

২. যেসব ইনজেকশন দ্বারা খাদ্য ও পানীয়ের কাজ হয়না-যেমন: জ্বর, ব্যথা, কাটা-পোড়া, ক্ষুধার কারণে নয় এমন দুর্বলতা ইত্যাদি রোগের জন্য যেসব ইনজেকশন করা হয় (পেশী, চামড়া বা শিরার ইনজেকশন) তাতে সিয়ামের কোন ত্রুটি হবে না, কারণ তা খাদ্য ও পানীয়ের কাজ করে না।

অনুরূপভাবে ডায়াবেটিসের জন্য ইনসুলিন ইনজেকশন, দাঁতের চিকিৎসার জন্য অবশ করার ইনজেকশন প্রভৃতির কারণেও সিয়ামের ক্ষতি হবে না।

৩. মিলনের মাধ্যমে জুনবী হোক বা স্বপ্নদোষের মাধ্যমে-উভয় অবস্থায় গোসল না করেই সিয়ামের নিয়ত ও সাহুর গ্রহণ করতে পারবে, এতে সিয়ামের কোন ত্রুটি হবেনা। তবে ফজরের সালাতের পূর্বে অবশ্যই গোসল করে নিবে। আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বপ্নদোষের মাধ্যমে নয়, স্ত্রী সঙ্গমের মাধ্যমে জানাবত (নাপাক) অবস্থায় ফজর করতেন। অতঃপর গোসল করতেন ও সিয়াম পূর্ণ করতেন। [বুখারি হাদিস নং ১৯২৬]

৪. রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে, রোগ, ভয়-ভীতি বা মানসিক দুর্বলতার কারণে (জাগ্রত অবস্থায় উত্তেজনা ব্যতীত) বীর্যপাত হলে সিয়ামের কোন অসুবিধা হবে না। কেননা এতে তার কোন হাত নেই।

৫. ইচ্ছাকৃত নয় রোগের কারণে বমি হলে সিয়ামের কোন ত্রুটি হবে না। [দলিল ইতোপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে]

৬. শরীর থেকে রক্ত বের হলে বা শিঙ্গা লাগালে সিয়াম নষ্ট হবে না। সিয়াম অবস্থায় শিঙ্গা লাগানো ও অপারেশন করা যায়। উক্ত অবস্থায় অধিক দুর্বলতার কারণে সিয়াম ভাঙ্গার অনুমতি থাকার কথা ভিন্ন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহরাম অবস্থায় ও সিয়াম রত অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন। [বুখারি হাদিস নং ১৯৩৮ ও ১৯৩৯] কিন্তু একটি হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি শিঙ্গা লাগায় এবং যাকে লাগানো হয় উভয়েরই সিয়াম ভেঙ্গে যায়। উহা বুখারির উপরোক্ত হাদিস এবং দারাকুতনী, বায়হাকী ও ত্বাবরানীর বর্ণিত হাদিসের মাধ্যমে মনসুখ হয়ে গেছে। [দেখুন: মুহাল্লা ৬/২০৫ পৃঃ ইরয়াউল গালীল ৪/৭২-৭৫, আছসিয়াম ওয়া রমাযান ২২৪-২২৬ পৃঃ।]

অনুরূপভাবে জখমের কারণে রক্ত বের হওয়া, ব্লাড টেস্টের জন্য রক্ত দেয়া, দাঁত থেকে রক্ত বের হওয়া বা দাঁত উঠানোর সময় রক্ত বের হলে সিয়ামের ক্ষতি হবে না।

৭. স্ত্রীকে চুম্বন দেয়া ও হাল্কা বিনোদন করার অনুমতি আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বিনা স্বতন্ত্রতার সহিত এ সবের বৈধতা সাব্যস্ত হয়েছে। তবে ঐ লোকদের জন্য যারা কামপ্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। [বুখারি হাদিস নং ১৯২৭, ১৯২৮, ১৯২৯ ও আস সিয়াম ২২৮-২২৯ পৃঃ। শেষোক্ত গ্রন্থ দ্রষ্টব্য।]

৮. মলদ্বার, লিঙ্গের ছিদ্র দিয়ে ঔষধ প্রবেশ করালে সিয়াম নষ্ট হবে না। এমনিভাবে পেটের ভিতর পাকস্থলীর বাইরে, মাথা ফেটে গেলে, মাথার ভিতর ওষুধ প্রবেশ করালে সিয়াম ভঙ্গ হবে না। [আস সিয়াম ২৩১-২৩৪ পৃঃ।]

৯. চোখে কাজল ব্যবহার করলে, চোখে-কানে ওষুধের ফোটা দিলে, হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের জন্য নাকে ভাপ নেয়া, ইনহেলার বা অক্সিজেন গ্রহণ করা, নারীদের মেকআপ ব্যবহার প্রভৃতিতে সিয়াম নষ্ট হবে না।

১০. পানি দ্বারা কুলি করা ও নাকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করাতে সিয়ামের ত্রুটি হয়না। তবে বেশী করে গড়গড়া করে কুলি করবে না। এসব করতে যেয়ে নাক বা গলা দিয়ে ভুলক্রমে কিছু প্রবেশ করলে সিয়াম নষ্ট বা মাকরূহ হবে না। বিভিন্ন সাহাবি ও তাবেঈ থেকে এরূপ সাব্যস্ত হয়েছে। [আস সিয়াম ২৩৪-২৩৬ পৃঃ]

১১. পানি দ্বারা বেশী বেশী গোসল করলে, বা গরমের কারণে মাথায় বেশী বেশী পানি ঢাললে, সাঁতার কাটলে, পানিতে ডুব দিলে কোন অসুবিধা নেই। আতর ও ফুলের সুগন্ধি নিলে বা মাখলে, তৈল, ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করলে, সিঁথি করলে সিয়ামের কোন অসুবিধা হয় না।

গড়গড়া করার জন্য ঔষধ ব্যবহার করলে, মিসওয়াক ও টুথপেস্ট ব্যবহার করলে, থুথু বা কফ গিলে ফেললে সিয়ামের কোন ক্ষতি হবে না।

১২. মহিলারা খানা পাকানোর সময় তরকারীর বিভিন্ন অবস্থা যাচায়ের জন্য প্রয়োজন থাকলে জিহ্বা দ্বারা পরীক্ষা করতে পারে। বিভিন্ন সাহাবি ও তাবেঈ থেকে এসবের বৈধতা সাব্যস্ত হয়েছে বিষয়গুলি [দলিলসহ দেখুন: আস সিয়াম ২৩৪- ২৩৭পৃঃ]

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews