ভারতের হরিয়ানার রোহতকে যোগব্যায়ামের শিক্ষক জগদীপকে অপহরণ করে জীবন্ত কবর দেওয়ার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার মূল সন্দেহভাজন হারদীপ তার স্ত্রীর সঙ্গে জগদীপের সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন।
পুলিশ জানায়, নিহত জগদীপ রোহতকের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগব্যায়ামের শিক্ষক ছিলেন এবং সন্দেহভাজন হারদীপের বাড়ির একটি অংশে ভাড়া থাকতেন। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে হারদীপ প্রথমে কুয়া খোঁড়ানোর কথা বলে চরকি দাদরির পান্তাভাস গ্রামে সাত ফুট গভীর একটি গর্ত তৈরি করান। পরে ২৪ ডিসেম্বর রাতে জগদীপকে অপহরণ করে মারধর করা হয় এবং হাত-পা বেঁধে সেই গর্তে ফেলে দেওয়া হয়। মুখে টেপ লাগিয়ে তাঁকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়।
নিখোঁজের ১০ দিন পর, ৩ জানুয়ারি শিবাজি কলোনি থানায় জগদীপের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। প্রথমে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য না পেলেও মোবাইল কল রেকর্ড বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পায় তারা। সেই সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করা হয় হারদীপ ও তার এক সহযোগীকে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা হত্যার দায় স্বীকার করে এবং ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৪ মার্চ পুলিশ জগদীপের মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ কর্মকর্তা কুলদীপ সিং জানান, এই ঘটনায় আরও কয়েকজনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে এবং তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে, এখন রিপোর্টের অপেক্ষা চলছে।
এই হত্যাকাণ্ড হরিয়ানায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।