ডেস্ক নিউজ।
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প মিয়ানমারকে কাঁপিয়ে দেয়। এতে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে ১৪৪ জন নিহত ও ৭৩২ জন আহত হয়েছেন বলে দেশটির সরকারি সূত্র জানিয়েছে। ভূমিকম্পের পর আফটারশক হিসেবে আরও একটি ৬.৪ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়।
মিয়ানমারের মান্দালয় অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঐতিহাসিক স্থাপনা, মসজিদ ও হাসপাতালসহ বহু ভবন ধসে পড়েছে। একটি প্রধান বাঁধের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রেডক্রস, যা ভেঙে গেলে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। রাজধানী নেপিডোতে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার ধসে কর্মকর্তাদের মৃত্যু হয়েছে।
ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজধানী ব্যাংককে ৩০ তলা একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ে, যেখানে ৮১ জন আটকা পড়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থাই প্রধানমন্ত্রী জরুরি বৈঠক শেষে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, এটি চীন, ভারত ও বাংলাদেশেও অনুভূত হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কম্পন হয়, যার মাত্রা ছিল ৭.৩।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। আসিয়ান মানবিক অফিস ও ভারত সাহায্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।