1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
লাল তালিকায়’ ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান: আমানতের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সম্পন্ন, আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে বালুতে পুঁতে অস্ত্রের মুখে ৪ কোটি টাকা দাবি, থানায় অভিযোগ নেয়নি পুলিশ যৌন নিপীড়ন মামলায় ১৫ বছরের শাস্তির ঝুঁকিতে হাকিমি ১০০ মিটারে সেরা, কিন্তু ৫০ মিটারে ব্যর্থ অ্যানি-রাফি জুলাই ঘোষণাপত্র মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় খুলনায় স্ত্রীকে বিয়ের ক্ষোভে ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা প্রভোস্টকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হলে মাদকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্র দাবিতে এনসিপির সমাবেশ ৫ আগস্ট প্রকাশ হবে জুলাই ঘোষণাপত্র ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ মানচিত্র: ভারতের পার্লামেন্টে বিতর্ক, বাংলাদেশ সরকারের ব্যাখ্যা

লাল তালিকায়’ ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান: আমানতের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫
  • ৪২ জন খবরটি পড়েছেন
ছবি-সংগৃহীত

বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক ।

জামানতের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি ঋণ দেওয়ায় দেশের ২০টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ‘লাল তালিকাভুক্ত’ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের হার ৮৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের আমানতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ২০টি প্রতিষ্ঠানের ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা হলেও জামানত রয়েছে মাত্র ৬ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকার। অর্থাৎ, ঋণের বিপরীতে জামানতের হার মাত্র ২৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। গ্রাহকদের মোট আমানতের পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ১২৭ কোটি টাকা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জামানতের ঘাটতির পাশাপাশি ঋণগ্রহীতার আর্থিক সক্ষমতা যাচাই না করাই এমন অবস্থার জন্য দায়ী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে জামানতের তথ্য কোনো নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে যাচাই করা হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের লাইসেন্স বাতিলের আগে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক সাক্ষাৎকারে জানান, অন্তত ১৫টি প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার মুখে। “আমরা এখন অবসায়ন বা একীভূতকরণের মাধ্যমে একটি সমাধানের পথে হাঁটছি। এর জন্য প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে,” বলেন তিনি।

লাল তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে: এফএএস ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, বিআইএফসি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিংসহ আরও ১৩টি প্রতিষ্ঠান।

ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএনএম গোলাম সাব্বির বলেন, “২০১৯ সালে পিপলস লিজিং বন্ধ হওয়ার পর থেকেই আমানতকারীরা আস্থা হারাচ্ছেন। এখন ৯০ শতাংশ গ্রাহক টাকা ফেরত চাইছেন, কিন্তু ব্যাংক থেকে কোনো সহায়তা আমরা পাচ্ছি না।”

বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গণমাধ্যমে কারণ দর্শানোর নোটিশের খবর ছড়িয়ে পড়ায় গোটা খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবিব মনে করেন, এনবিএফআইগুলো ঋণগ্রহীতার পরিশোধ সক্ষমতা যাচাইয়ে ব্যর্থ হওয়াই মূল সংকটের সূচনা করেছে। জামানত হলো দ্বিতীয় নিরাপত্তা, প্রাথমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় আর্থিক যাচাইয়ের মাধ্যমে—যা এখানে উপেক্ষিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews