শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তবে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত ১০টা পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সচিব হিসেবে সিদ্দিক জোবায়েরের নাম ও ছবি বহাল ছিল। জনপ্রশাসন বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও তার অপসারণের কোনো দাপ্তরিক নির্দেশনা জারি হয়নি, যা বিষয়টি ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি করেছে।
আজ দুপুরের পর থেকেই শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষাসচিবের পদত্যাগ দাবিতে রাজধানী ঢাকার সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এই বিক্ষোভের জেরে সচিবালয়ের সব প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায় এবং সড়ক হয়ে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।
বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সচিবালয়ের ভেতর থেকে বের করে দেয়।
এর আগে বিকেল ৪টার কিছু আগে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি পূর্ণাঙ্গ তদন্তে শীঘ্রই কমিটি গঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিকে সমন্বয় করে তদন্ত কমিটি গঠিত হবে। ইতোমধ্যে শিক্ষা সচিবকে অপসারণ করা হয়েছে। ন্যায্য যেকোনো দাবি মানতে সরকার দায়বদ্ধ।”
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টা দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের প্রত্যাহারের কোনো নির্দেশনা এখন পর্যন্ত জারি হয়নি। সচিবের দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, তারা তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে বিষয়টি জেনেছেন, কিন্তু অপসারণের কোনো নির্দেশনা পাননি। নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও গণমাধ্যমকে জানানো হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।