লিওনেল মেসির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ডি.সি. ইউনাইটেডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় তুলে নিয়েছে ইন্টার মায়ামি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ফ্লোরিডার ড্রাইভ পিংক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে মেসি একাই করলেন জোড়া গোল, সঙ্গে করলেন এক দুর্দান্ত অ্যাসিস্ট।
তার এমন পারফরম্যান্সে শুধু জয়ই নয়, যুক্ত হলো এমএলএস-এ আরেকটি নতুন রেকর্ড।ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখাতে থাকে ইন্টার মায়ামি। প্রথমার্ধেই দলকে এগিয়ে দেন মেসি। এরপর টমাস আলেন্দেকে নিখুঁত এক পাসে গোল করিয়ে দলের দ্বিতীয় গোলেও রাখেন সরাসরি ভূমিকা।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন আর্জেন্টাইন তারকা। যদিও ডি.সি. ইউনাইটেডও দুই গোল করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল, তবে মেসির ছায়ায় ঢাকা পড়ে যায় তাদের সব প্রচেষ্টা। শেষ পর্যন্ত তার দুর্দান্ত নৈপুণ্যেই জয় নিশ্চিত করে ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন দলটি।এই ম্যাচেই ইতিহাস গড়েন লিওনেল মেসি।
মেজর লিগ সকারে সবচেয়ে কম ম্যাচে ৭০ গোল অবদানের (গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে) রেকর্ড গড়েছেন তিনি। মেসি এই কীর্তি গড়েছেন মাত্র ৪৬ ম্যাচে, যেখানে আগের রেকর্ডটি ছিল কার্লোস ভেলার, যিনি ৫৫ ম্যাচে এই মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন। ডি.সি. ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে মেসির বর্তমান গোল অবদানের সংখ্যা এখন ৭২, যা এসেছে মাত্র ৪৭ ম্যাচে।ম্যাচের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত ছিল মেসির সেই নিখুঁত পাস, যেটি থেকে গোল করেন আলেন্দে। তার প্রতিটি ছোঁয়ায় মাঠে দেখা গেছে বিশ্বমানের ক্লাস।
বিশেষ করে এমন একটি সময়, যখন লুইস সুয়ারেজ সাসপেনশনে থাকায় মেসিকেই পুরো আক্রমণভাগের ভার কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে, তখন তিনি আরও একবার প্রমাণ করেছেন কেন তাকে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা বলা হয়।এই জয়ে প্লে-অফে উঠার লড়াইয়ে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করেছে ইন্টার মায়ামি। আর মেসি দেখিয়ে দিয়েছেন—৩৬ বছর বয়সেও তিনি শুধুই খেলে যাচ্ছেন না, বরং প্রতি ম্যাচে ইতিহাস গড়েই চলেছেন। তার পায়ে ভর করেই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে ইন্টার মায়ামির স্বপ্ন।