বিশ্বের সবচেয়ে কম ‘প্রকৃতি-সংযুক্ত’ দেশগুলোর তালিকায় নিচের দিকেই রয়েছে ব্রিটেন। ৬১ দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্যের অবস্থান ৫৫তম বলে জানিয়েছে মানুষের প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক নিয়ে করা বৈশ্বিক এক গবেষণা।জার্নাল Ambio-তে প্রকাশিত গবেষণাটি ৬১টি দেশের ৫৭ হাজার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি।
এতে দেখা যায়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো মানুষের প্রকৃতি সম্পর্কে অনুভূতি ও আচরণকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।গবেষণায় সবচেয়ে প্রকৃতিবান্ধব দেশ হিসেবে উঠে এসেছে নেপালের নাম। এরপর রয়েছে ইরান, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়া। ইউরোপে ক্রোয়েশিয়া ও বুলগেরিয়া শীর্ষ দশে, ফ্রান্স রয়েছে ১৯তম স্থানে।
তালিকার সর্বশেষে আছে স্পেন।প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্ক পরিমাপ করতে ‘ন্যাচার কানেকটেডনেস’ নামের মনোবৈজ্ঞানিক ধারণা ব্যবহার করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, যারা প্রকৃতির সাথে বেশি যুক্ত, তারা সাধারণত মানসিকভাবে বেশি স্বাস্থ্যমণ্ডিত এবং পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হন।
ইউনিভার্সিটি অব ডার্বির অধ্যাপক মাইলস রিচার্ডসনের নেতৃত্বাধীন গবেষক দল জানায়, ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ দেশগুলোর মানুষ প্রকৃতির প্রতি বেশি সংযুক্ত হন। বিপরীতে যেখানে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ বেশি, নগরায়ণ ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হার উঁচু—সেসব দেশে প্রকৃতি সংযোগ কমে যায়।রিচার্ডসন বলেন, “ব্রিটেন প্রযুক্তি ও অর্থনীতির দিকে ব্যাপকভাবে ঝুঁকেছে।
এতে উন্নতি এসেছে, তবে প্রকৃতির সাথে মানসিক সম্পর্ক দুর্বল হয়েছে।”তিনি বলেন, জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রকৃতির ব্যবহার, আইনে প্রকৃতির অধিকার স্বীকৃতি এবং ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তে প্রকৃতিকে অংশীদার করার মতো উদ্যোগ নিলে এই ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
চার্চ অব ইংল্যান্ডের পরিবেশবিষয়ক প্রধান বিশপ গ্রাহাম আশার বলেন, “যে জিনিস আমরা লক্ষ্য করি, সেটাই আমরা ভালোবাসি। প্রকৃতিকে ভালোবাসা থেকেই সংরক্ষণের সূচনা হয়।”