নিজস্ব প্রতিনিধি

উড়ছে পাখি দিচ্ছে ডাক, আনারস মার্কা জিতে যাক’-মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৪নং দেউলী-সুবিদখালী ইউনিয়নে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আবদুল আজিজ হাওলাদারের পক্ষে এমন নানান স্লোগানে মুখর দেউলী-সুবিদখালী ইউনিয়নের প্রতিটি জনপদ। নির্বাচনী এলাকার সর্বত্রই নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, যুবক-বৃদ্ধসহ নানান শ্রেণী-পেশার মানুষ আনারস প্রতীকের পক্ষে মাঠে নেমেছেন।

রাত-দিন নানামুখী প্রচারে মুখরিত শহর, পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে মাঠ-ঘাট। গত তিন দিন ধরে নির্বাচনী এলাকার মাঠ পুরোপুরি আনারসের অনুকূলে।দেউলী-সুবিদখালীর অলি-গলি ঘুরে দেখা গেছে, আনারস প্রতীকের পক্ষে রীতিমতো গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নৌকা ও হাতপাখাকে টপকে স্রোত এখন আনারসের পক্ষে। দিন দিন অবস্থা আরও মজবুত হচ্ছে। ভোটাররা বলছেন, এ গণজোয়ারে প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে অনায়াসেই বিজয়ী হবেন বর্তমান সফল চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ হাওলাদার।

২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন। সেই হিসাবে আর মাত্র ৩ দিন বাকি। এ সময়টা কাজে লাগাতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা।

ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আলহাজ্ব সুলতান হাওলাদার উঠোন বৈঠকে বলেন, আবদুল আজিজ হাওলাদার এলাকায় যে উন্নয়ন করেছেন, অন্য কোনো সময়ে এমন উন্নয়ন হয়নি। তিনি সব সময় এলাকার অসহায়-দরিদ্র মানুষের পাশে ছিলেন। এমন জনদরদি মানুষকে আমরা আবারও ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানাব- এ আমাদের অঙ্গীকার।

আনারস প্রতীকের সমর্থক নাসির হাওলাদার উঠোন বৈঠকে বলেন, আবদুল আজিজ হাওলাদারের কাছ থেকে আপনারা অনেক সহযোগিতা পেয়েছেন। তাই তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে তাকে আবার বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন।

সভায় আনারস প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মিজানুর হাওলাদার বলেন, স্বাধীনতার পর এলাকায় যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি উন্নয়ন হয়েছে আবদুল আজিজ হাওলাদারের সময়।আমাদের উন্নয়নের জনক, আমাদের ভাইকে আমরা আবারও বিজয়ী করে আনব। তিনি আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে আবদুল আজিজ হাওলাদারকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান। তিনি আরোও বলেন, বিগত ৫ বছরে তিনি আপনাদের মাঝে ছিলেন, তিনি কেমন মানুষ- সেটা আপনারা জানেন। এ কারণে তার ব্যাপারে আমরা আর কিছু বলতে চাই না।

সুবিদখালী বাজার কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন বলেন, আবদুল আজিজ হাওলাদারের সময় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এলাকায় চলাচল করেছি। ব্যবসা-বাণিজ্যে কাউকে মাসোহারা দিতে হয়নি। ব্যতিক্রমী এই রাজনীতিবিদকে আমরা পুনরায় নির্বাচিত করে ইউনিয়ন পরিষদে পাঠাব। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আমরা এবারও বিপুল ভোটের ব্যবধানে তাকে বিজয়ী করব।

ডোকলাখালি এলাকার বাসিন্দা মোঃ জাফর হোসেন (সাবেক টি ও) বলেন, আমি জীবনের শেষপ্রান্তে চলে এসেছি। জীবনে আমাদের এলাকায় অনেক রাজনীতিক দেখেছি, এর মধ্যে ব্যতিক্রম কেবল আজিজ হাওলাদার। তিনি এলাকার জন্য অনেক কিছু করেছেন।তাকে বিজয়ী করতে পারলে এলাকার আরও উন্নয়ন হবে। আর এজন্যই তাকে ভোট দেবেন এলাকাবাসী।

তিনি বলেন, বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া সত্ত্বেও তাকে সব সময় নিরহংকারী হিসেবে পেয়েছি। বিগত ৫ বছরে তার ব্যাপারে নেতিবাচক কোনো কথা শুনিনি। এ কারণে আবারও আমরা তাকে বিজয়ী করব। আমাদের কাছে প্রতীক কোনো বিষয় নয়, আজিজ হাওলাদার আমাদের কাছে বড় প্রতীক।