1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
ফেলানী হত্যার ১১ বছরেও ন্যায় বিচার পায়নি তার পরিবার - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
৮০ বছরের বৃদ্ধা মাকে ছাগলের ঘরে বন্দি, উদ্ধার করলো প্রশাসন বাঘারপাড়ায় ১৫০ কৃষক কে গ্রীষ্মকালীন বীজ ও সার বিতরণ শরণখোলায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসে আলোচনা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলামের পদত্যাগ যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা: অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেলেন তারেক রহমান কোহলির ভবিষ্যদ্বাণী, বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করবে ভারত পূর্বপরিচিতের লালসার শিকার শিশু, গ্রেফতার গাড়িচালক হামাসের সঙ্গে মার্কিন বৈঠক, ক্ষুব্ধ ইসরাইল মাদারীপুরে চাঁদাবাজ সাইফুল খুন, বাঁচাতে গিয়ে দুই ভাই নিহত ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়: নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা

ফেলানী হত্যার ১১ বছরেও ন্যায় বিচার পায়নি তার পরিবার

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২২
  • ২২৯ জন খবরটি পড়েছেন


এ আর রাকিবুল হাসান, কুড়িগ্রাম ।।

কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার ১১ বছরেও ন্যায় বিচার পায়নি তার পরিবার। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাবা নুর ইসলামের সাথে ভারত থেকে বাংলাদেশ ফিরছিলেন ফেলানী। এসময় মই বেয়ে কাঁটাতার পারাপারের সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত হয় ফেলানী।

বাবা নুর ইসলাম প্রাণে বেঁচে গেলেও মেয়ে ফেলানীর মরদহ দীর্ঘ সময় ঝুলে থাকে কাঁটাতারে।

এ ঘটনা নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠলে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতে ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদর দফতরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা করেন রায় দেয় নিজ বাহিনীর আদালত।

ফেলানীর বাবা-মা রায় প্রত্যাখ্যান করলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনর্বিচার কার্যক্রম শুরু করে ভারত। পরের বছর ২ জুলাই অভিযুক্তকে আবারও নির্দোষ ঘোষণা করো রায় দেওয়া হয়।

এরপর ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচারের আশায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যথাযথভাবে রিট আবেদন করেন ফেলানীর বাবা ও মানবাধিকার সংগঠন সুরক্ষা মঞ্চ। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত পূর্ণাঙ্গ ব্রেঞ্চ রিট আবেদনটি গ্রহণ করলেও একাধিকবার শুনানীর তারিখ পরিবর্তন হওয়ায় এখনও ন্যায় বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার।

ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থাসহ অনেকের কাছে আমরা গিয়েছি, কিন্তু ১১ বছরেও ন্যায় বিচার পেলাম না।বাবা নুর ইসলাম বলেন, দুই দুই বার কুচবিহার গিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছি। বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের নৃশংসতার বর্ননা দিয়েছি। তারপরও ন্যায্য বিচার পাইনি। তবে ভারতের সুপ্রীম কোর্টে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা ছাড়িনি।

ফেলানীর হত্যাকান্ডে পিতা নুর ইসলামের আইন সহায়তাকারী কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন জানান, একাধিকবার তারিখ বদলের পর ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। ভারতের সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি এন ভি রোমানা ও বিচারপতি মোহন এম সাÍনা গদ্ধারক নিয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ শুনানীর জন্য আইটম নম্বর-৩ হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। অথচ সুপ্রীম কোর্ট থেকে বিবাদীকে শোকজ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা শোকজের জবাব দিয়েছেন। কিন্তু পরর্বতীতে আর শুনানী অনুষ্ঠিত হয়নি। বর্তমান কার্য তালিকা থেকে বাদ পড়ে আছে রিটটি।

তিনি বলেন, করোনার কারনে রিটটির সর্বশেষ অবস্থা জানেন না । এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন ন্যায্য বিচারের আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘জেনারল সিকিউিরিটি ফোর্স কোর্টে বাদী ছিল বিএসএফ, আসামি ছিল বিএসএফ এবং বিচারকও ছিল বিএসএফ। ফলে ন্যায্য বিচার পাওয়া যায়নি। সুপ্রীম কোর্টে ন্যায্য বিচার পাওয়া যাবে। আর এই রিট নিস্পত্তি করতে সুপ্রীম কোর্ট যে পর্যবেক্ষণ দিবেন তাতে দু-দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলে প্রত্যাশা করছি।

ফেলানীর পিতা নুর ইসলাম পরিবার নিয়ে ভারতে থাকতেন এবং সেখানে ইট ভাটায় কাজ করতেন। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর রামখানার কলোনীটারী গ্রামে মেয়ে ফেলানীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তাই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরতে ২০১১সালের ৬ জানুয়ারী   রওনা হন বাংলাদেশ। ৭ জানুয়ারি এ হত্যাকান্ড ঘটে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews