বগুড়ার সেই শিক্ষিত বেকার তরুন আলমগীর অবশেষে পুলিশ সুপারের সহায়তায় চাকরি পেলো সপিংমল স্বপ্নতে।
আলমগীরের দু ’বেলা খাবারের বিনিময়ে ছাত্র পড়াতে চাই , এমন পোষ্টারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো হৈ চৈ পড়ে যায়। আলমগীর হোসেনকে নিয়ে সাংবাদিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে কৌতুহল বেড়ে যায়। অবশেষে বগুড়া পুলিশ সুাপার আলমগীরের আদ্যপান্ত খোঁজ খবর নেন। জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানতে পারেন, আলমগীরের বাবা কফিল উদ্দিন আওায়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার পরিবারের অর্থিক অবস্থা ভাল না।
পুলিশ সুপার জানান, বগুড়ার স্বপ্ন সুপার সপের চীফ অপারেটর অফিসার সামসুদ্দোহ স্বপ্নের আউট লেটে তাকে পুলিশ প্লাজায় চাকরি দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বুধবার আলমগীরের হাতে স্বপ্নের পক্ষ থেকে তার নিয়োগ পত্র তুলে দেয়া হয়। পুলিশ সুপার জানান, তার সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, চাকরিটা তার আসলেই প্রয়োজন।
চাকরি পাওয়ার বিষয়ে আলমগীর জানান, এই মুহুর্তে কিছু বলতে পারছি না। আর্থিক অনটনের কারণে আলমগীর কবিরের তিনবেলা ঠিকমতো খাওয়া হচ্ছিল না। এই কারণে উপায় না দেখে সম্প্রতি তিনি কাজের সন্ধানে ‘বিজ্ঞাপন’ দেন। ।
দেয়ালে সাঁটানো বিজ্ঞাপনে তিনি জানান, ‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই।’ দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো সেই বিজ্ঞাপনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন জনৈক ব্যক্তি। এর পর থেকে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে আলমগীর কবির নিজেও বিব্রত অবস্থায় পড়েন। ৩২ বছর বয়সী আলমগীর কবির বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার শরাইল গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। বগুড়া শহরের জহুরুল নগরে এক বাড়িতে থেকে তিনি কলেজে লেখা পড়া করেন।