এ আর রাকিবুল হাসান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
মাঘের মাঝামাঝিতেই কুড়িগ্রাম জেলার আম গাছে আমের মুকুল বের হচ্ছে। গাছে গাছে এখন আমের মুকুল। এখনও বসন্তকাল ।প্রকৃতিকে লাগছে বসন্তের ছোঁয়া। এরমধ্যে বাতাসে গাছে গাছে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়াচ্ছে শুরু করেছে। কিছু পলাশের নেশা, কিছুবা চাঁপায় মেশা। মন মাতায়, ছোঁয়া লাগে। কিছু কিছু আম গাছে এখন হলুদ মুকুলের সমারোহ দেখা যাচ্ছে।
এ সময় আমের মুকুলে এক জাতীয় পোকা ধরে,তাতে মুকুল কালো হয়ে মরে যায়। এরপরও সামনে আছে ঝড়-বৃষ্টির ভয়। এতে করে আমের ফলন যে কি দাঁড়াবে তবে এখন ঠিক বলা যায় না। তবে এর প্রতিকার নিয়ে এখনই ভাবছে আম চাষীরা। কৃষি বিভাগে পরামর্শ নিয়ে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে গাছের মালিকরা কীটনাশক স্প্রে করছে। যাতে পোকার আক্রমন বা মুকুল ঝরে না পরে।
ঘোগাদহ ইউনিয়নের মরাটারী গ্রামের আমচাষী মোঃ মোকসেদুল মিয়া জানান,আমের মুকুল আসার আগেই গাছের যত নিতে হয়। গাছের চারপাশে খনন করে পানি দিতে হয়। গাছে ওষুধ স্প্রে করা হয়। এরপর মুকুল আসা শুরু করে। তিনি জানান,ইতোমধ্যে গাছে গাছে মুকুল আসছে। রোগ বালাই থেকে গাছের মুকুলকে রক্ষা করতে বালাইনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দৈনিক আশ্রয়কে জানান,কউপজেলায় ৬১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে বা বাগান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বাড়ির আঙিনায় বা সড়কের ধারে বিচ্ছিন্নভাবে আমের অসংখ্য গাছ রয়েছে। তিনি জানান,ইতোমধ্যে আমের মুকুল আসছে। কৃষি বিভাগ থেকে আমচাষীদের নানাভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।