1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
মেডিকেলে সুযোগ পেয়ে ও ভর্তির শঙ্কায় সেতু - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
৩৬ কোটি টাকার স্কলারশিপে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাচ্ছেন মীম বাবার ওপর অভিমান করে সিলেটে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা জিম্মি মুক্তি না হলে যুদ্ধ চলবে: ইসরায়েলি সেনাপ্রধান সাবেক প্রতিমন্ত্রী কোরবান আলীর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ অপহরণের দুই দিন পর পুলিশি অভিযানে বান্দরবানে ৭ বছরের এক শিশু উদ্ধার কক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজি: নিহত ৫ ‘যে গাছে ফরহাদের ছবি আছে, সেই গাছের নিচে শপিং ব্যাগে টাকা রেখে যাবি’ জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে পঞ্চগড় জেলা ছাত্রশিবিরের “জুলাই দ্রোহ” বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতি হিসেবে প্রথম সভা করলেন নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ শেরপুর–মৌলভীবাজার মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় যুবক নিহত

মেডিকেলে সুযোগ পেয়ে ও ভর্তির শঙ্কায় সেতু

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২
  • ৮৮২ জন খবরটি পড়েছেন
ছবি-বিডিটেলিগ্রাফ

বাঘারপাড়া প্রতিনিধি।।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মুগদা মেডিকেল কলেজ ঢাকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন খানপুরের দরিদ্র ঘরের মেয়ে সুরাইয়া জান্নাত সেতু । তিনি  খুলনা মেডিকেল কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন।

শিক্ষা জীবনজুড়েই আর্থিক দুশ্চিন্তা ছিল সেতুর নিত্যসঙ্গী। মেধার জোরে সব বাধা জয় করে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেলেও আবার সেই আর্থিক দুশ্চিন্তাই তাকে ঘিরে ধরেছে।

ভর্তির সুযোগ পেলেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। কোথায় পাবেন অর্থ, কে দেবেন অর্থের জোগান- এ শঙ্কায় দিন কাটছে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সেতুর ।

সুরাইয়া জান্নাত সেতু যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের আব্দুল খালেক ও মোছা. সায়েরা খাতুনের মেয়ে। সেতু ওই দম্পতির একমাত্র সন্তান । পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সেতুর পিতা একজন দরিদ্র বিদ্যুত মিস্ত্রী। সেতুর পিতার নিজ বাড়ির মাত্র কয়েককাঠা জায়গা ছাড়া তেমন কিছুই নেই।

বাড়িতে রয়েছে একটি সেমি পাকাটিনের ঘর। সেই একটি ঘরেই থাকেন পরিবারের সবাই। পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেতুর পিতার। দীর্ঘকাল ধরে স্ট্রোক করে বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে আছেন সেতুর মা। তার চিকিৎসা ব্যায় মেটাতেই হিমসীম খেতে হয় সেতুর পিতাকে। মেয়ের   মেডিকেলে ভর্তি ও পড়ার খরচ জোগানোর সামর্থ্য দরিদ্র পিতার নেই।

সেতুর পিতা আব্দুল খালেক বলেন, স্থানীয় এনজিও থেকে লোন নিয়ে একটি ঘর করি। সেই লোনের কিস্তি দিতে হয়। এর পরে সেতুর মায়ের ওষুধপত্রসহ কোনোরকম কষ্টে পরিবারের ৩জনের মুখের আহার তুলে দেওয়া ও সংসারের অন্যান্য খরচ চালাতে হয়। তাই সংসার চালানো যেখানে দায়, সেখানে মেয়ের মেডিকেলে লেখাপড়ার খরচ চালানো আমার কাছে দুঃস্বপ্ন। তবে স্বপ্ন দেখি আমার মেয়ে ডাক্তার হবে। কিন্তু টাকার অভাবে মেয়েকে ভর্তি করাতে পারবো কিনা জানি না।  

সেতু ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী, তিনি খানপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং নারিকেলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এছাড়া সেতু পিএসসি তে ট্যালেণ্টপুলে বৃত্তি,জেএস,সি তে জিপিএ-৫ নিয়ে সাধারন বৃত্তিপান। সেতু ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেন্টাল ইউনিটে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্য বিজ্ঞানে ভর্তির সুযোগ পান। ছোট থেকেই তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি অধিকাংশ সময়ই লেখাপড়ার পিছনে ব্যয় করেছেন। স্বপ্ন পূরণের এতো কাছে এসেও টাকার অভাবে স্বপ্ন ভেঙে যাবে তা মেনে নিতে পারছেন না মুন্নী।

সেতু জানান, স্কুল-কলেজে পড়াশুনার সময় অর্থের অভাবে একসঙ্গে প্রয়োজনীয় সব বই কিনতে পারতাম না। একটা একটা করে বই কিনতাম। মন চাইলে একটা ভালো পোশাক কিনতে পারতাম না। কারণ আমার জন্ম গরিবের ঘরে। মা-বাবা খুশি হয়ে যা কিনে দিতেন, আমি তাতেই খুশি থাকতাম।

সেতু আরও বলেন, মেডিকেলে চান্স পাওয়ার পর এখন খুব চিন্তা হচ্ছে। মেডিকেলের বইয়ের দাম বেশি। ঢাকায় পড়াশুনা করতে গিয়ে সেখানে থাকা-খাওয়াসহ অনেক খরচ হবে। এত টাকা আমার হতদরিদ্র বাবা কোথায় পাবে? কীভাবে পড়ালেখার খরচ চালাব বুঝতে পারছি না। আমার বাবার পক্ষে সেই খরচ চালানো সম্ভব না। সেতু সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চান। সবার সহযোগিতায় পড়াশুনা সম্পন্ন করে ভালো একজন চিকিৎসক হয়ে দেশ ও দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য সারাজীবন কাজ করে যেতে চান সেতু ।

নারিকেলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মিহির সাহা জানান, সেতু দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও সে অত্যন্ত মেধাবী একজন ছাত্রী। প্রশাসনসহ সমাজের বিত্তবানরা নজর দিলে সেতুর ডাক্তারি পড়া আটকাবে না।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews