ডেস্ক রিপোর্ট।।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ১০ বছরের কারাদন্ড হাইকোর্টের রায়ে বহাল থাকায় রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আবেদনে হাজী সেলিমের আইনজীবী প্রাণ নাথ উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে হার্ড সার্জারির সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন যাবত বাক-শক্তিহীন অবস্থায় রয়েছেন হাজী সেলিম। তিনি দেশ বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। জেল হাজতে থাকলে চিকিৎসার অভাবে ও বাক-শক্তিহীনের কারণে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে যে কোনো শর্তে তার জামিন আবেদন করা হয়েছে। জামিন দিলে তিনি পলিয়ে যাবেন না। তাই আপিল শর্তে আত্মসমর্পণের পর তার জামিনের আবেদন করা হয়েছে। কারাগারে উন্নত চিকিৎসা ও প্রথম শ্রেণির ডিভিশন চেয়ে আরও দু’টি আবেদন করা হয়েছে।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এরপর ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল হাজী সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদন্ড দেন আদালত।
এরপরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিমের হাইকোর্টে আপিলের প্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন।
সর্বোচ্চ আদালতে দুদক রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল করে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর শুনানি শেষে চূড়ান্ত রায় দেন হাইকোর্ট। সেখানে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের কারাদন্ড কমিয়ে ১০ বছর বহাল রাখা হয়।