বাঘারপাড়া প্রতিনিধি।। পারিবারিক কলহে ঘর থেকে চলে পালিয়ে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে খুন হয়েছেন যশোরের বাঘারপাড়ার নকিম উদ্দিন (৬০)।
নিহত নাকিম উদ্দিন উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের ধূপখালি গ্রাতের মৃত দলিলুদ্দিন মোল্লার পুত্র।
ঘটনাটি ঘটেছে বাঘারপাড়া উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে। আজ সোমবার (৩০ মে) সকালে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘খ’ সার্কেল) মুকিত সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও পারবারিক সূত্রে জানা গেছে , গত ২৬ মে বাঘারপাড়ার পাইকপাড়া গ্রামের ইবাদ আলী মোল্যার ছেলে বেনজির আহমেদ ছাতিয়ানতলা বাজার থেকে ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে নকিমসহ তিনজনকে বাড়িতে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে গত ২৯ মে বিকেলে একজন শ্রমিক চলে যায়। দুইজন রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
সোমবার (৩০ মে) সকাল ৬ টার দিকেবাড়ির মালিক বেনজির শ্রমিকদের ডাকাডাকি করার পর কোন সাড়া না পেয়ে এগিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা।এ সময় তিনি ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন শ্রমিক নকিম উদ্দিন রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। বিষয় টি তিনি বাঘারপাড়া থানায় জানালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।পুলিশের ধারণা, তার সাথে থাকা অজ্ঞাত অপর শ্রমিক নকিম উদ্দিনের পুরুষাঙ্গ কেটে, চোখ উপড়ে ও শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া ও শ্রমিকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নকিম উদ্দিনের ভাতিজা সোহাগ হোসেন বলেন,আমার চাচা গত বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হন। তিনি ছিলেন শান্ত প্রকৃতির মানুষ। কারও সাথে কোন বিরোধ ছিলোনা। কে বা কারা তাকে এভাবে হত্যা করলো বুঝতে পারছিনা।
প্রতিবেশি মাদ্রাসা শিক্ষক ইমদাদুল হক জানান, নকিম উদ্দিন একজন কৃষক। বাড়ির অবস্থা মোটামুটি ভালো।শ্রম বিক্রি করতে দেখিনি কখনো। গত বৃহস্পতিবার তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে একহাজার টাকা নিয়ে ‘আসছি’ বলে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় সব আত্মীয়ের বাড়ি খোঁজ নেন পরিবারের সদস্যরা। কোথাও মেলেনা তার হদিস। সোমবার তার খুনের খবর পাওয়া যায় ।
বাঘারপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন জানান,খুনের রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।