ঝিনাইদহ প্রতিনিধি।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও ঝিনাইদহ-২ আসনের ৪ বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মসিউর রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন(ইন্নালিল্লাহী ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)। ৭৮ বছর বয়সের এই নেতা মৃত্যুকালে স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মসিউর রহমান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও ছিলেন। মশিউর রহমানের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ভীড় করেন অসংখ্য বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের মানুষ।
স্থানীয়রা জানান,সোমবার রাতে সাংগঠনিক সব কাজ সেরে শহরের গীতাঞ্জলী সড়কের নিজ বাসভবনে ঘুমিয়ে পড়েন মসিউর রহমান। এখানে তিনি একাই থাকতেন, পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় থাকেন। আজ সকালে তিনি ড্রাইভারকে শরীর খারাপ লাগছে বলে ফোন দিয়ে দ্রুত বাসায় আসতে বলেন। এরপর ড্রাইভার সহ অন্যরা এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে মসিউর রহমান বিছানায় পড়ে আছে। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা: ছোয়া ইসরাইল জানান, হাসপাতালে মআসার আগেই তিনি মারা যান। দ্রুত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে দেখা গেছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পপপু এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, জেলার উন্নয়নের জন্য মসিউর রহমানের অবদান অনস্বীকার্য। তার মৃত্যুতে অপুরনীয় ক্ষতি রাজনীতি অঙ্গনে, এমনকি আমরা একজন অভিভাবককে হারালাম। এছাড়া জেলা বিএনপির সভাপতি এম,এ মজিদ জানান, ঝিনাইদহে বেশির ভাগ উন্নয়ন মসিউর রহমানের হাত ধরেই হয়েছে। তিনি মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। জননন্দিত এ নেতার মৃত্যুতে বিএনপির জন্য এক অপুরনীয় ক্ষতি।
আজ বিকালে তার জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।