খান কে এম শরাফত উদ্দীন,বাঘারপাড়া থেকে।
যশোরের বাঘারপাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষার মান ও পরিবেশ উন্নয়নে নিরলস কাজ করে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী
অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান। এরজন্য এক গুচ্ছ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তিনি। পরিকল্পনার মধ্যে আছে শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করতে প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা যন্ত্র স্থাপন, ২১টি বিদ্যালয়ে সিসিক্যামেরা
স্থাপন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসা, প্রতিটি বিদ্যালয়ে পুষ্টিবাগান স্থাপন, বিদ্যালয়ের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করা এবং প্রতি চারমাস পরপর মূল্যায়ন ও ভালোদের
পুরস্কৃত করা। এসকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উপজেলায় বিভিন্ন বিদ্যালয় প্রতিদিন পরিদর্শন করছেন শিক্ষাবান্ধব এ অফিসার।
চলতি বছরের প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে গত ৮জুন বৃহস্পতিবার। এদিন সকালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কৃতি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শ্রেষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সংবর্ধনার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ভিক্টোরিয়া পারভীন সাথী।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ১০২টি বিদ্যালয়ে সিসিক্যামেরার জন্য সিমকার্ড বিতরন করেন। এদিন মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও তাদের অভিভাবকদের সংবর্ধনা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ প্রদান, জাতীয় শিক্ষা পদক উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়িদের পুরস্কার বিতরন, উত্তম চর্চায় (শিক্ষকদের আগমন প্রস্থান, শিশুদের নৈতিকতা শেখানো, স্কুলের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, সহ শিক্ষা কার্যক্রম বজায় রাখা ইত্যাদি) বিশেষ অবদান রাখায় ৫টি বিদ্যালয়কে সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান ছাড়াও উদীয়মান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে উৎসাহমুলক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। উপজেলার শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ দিতে বছরে চারবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে জানালেন নির্বাহী অফিসার।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আলী আকবর,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্লা, বিথীকা বিশ্বাস, সহকারি শিক্ষা অফিসারগণ, প্রধান শিক্ষকগণ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ ও শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, বাঘারপাড়ায় যোগদানের পর থেকেই শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছি। আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত। তাই শিশুদের শিক্ষার ভিত মজবুতের জন্য প্রাথমিক শিক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এরজন্য শিশুদের নৈতিকতা চর্চা, নিজের পরিবেশ নিজে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান চর্চায় দেওয়াল লিখনের ব্যবস্থা ও তাদের পুষ্টিবাগান করতে উৎসাহসহ শিক্ষকদের আগমন প্রস্থান নিশ্চিত করেছি। এ ছাড়াও নিজস্ব উদ্যোগে প্রদীপন নামের একটি পাঠপরিকল্পনা (সরকারি প্রাথমিকের সিলেবাস অনুসারে) তৈরি করেছি। প্রতি চারমাস পর সেই পাঠপরিকল্পনার আলোকে উপজেলাব্যাপি একটি পরীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির ১৬ মেধাবী শিশুকে বৃত্তি বাবদ দুই হাজার টাকা এবং ক্রেস্ট প্রদান করেছি। একইসাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবদের সংবর্ধনার ব্যবস্থা করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়’।