1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষককে নির্যাতনের অভিযোগ - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্যামনগরে যুব বিভাগের মাদকবিরোধী র‍্যালি তিন খুনের স্বীকারোক্তিমূলক আসামি কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন কুড়িগ্রাম উলিপুরে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১ম দিনে অনুপস্থিত ৬৬, বহিষ্কার ২ নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির জয়লাভ ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ: নেতানিয়াহুর বিচার বাতিল করুন পদ্মায় ধরা পড়ল ২১ কেজির কাতল মাছ, বিক্রি ৩৮ হাজার টাকায় ইসরায়েলি গোয়েন্দার অডিও ফাঁস: “তালিকায় আছো, পালাও” নতুন বাংলাদেশ দিবস ও শহীদ আবু সাঈদ দিবস পালনের নির্দেশনা জারি চীনকে ইঙ্গিত? নিজ ভূখণ্ডে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল জাপান ইন্দিরা সরকারের অধীনে জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ: এক গ্রামের ত্যাগ ও ট্র্যাজেডি

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষককে নির্যাতনের অভিযোগ

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১১৭ জন খবরটি পড়েছেন
ছবি-সংগৃহীত

অনুষ্ঠানে অতিথি না করা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যশোরে এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দেড় ঘণ্টা আটকে রেখে চোখ হাত পা ও অন্যান্য অংগে নির্যাতন চালিয়েছেন।

ভুক্তভোগী মোহাম্মদ নুরুল আমিন যশোর আদর্শ বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার অভিযোগের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি জিডি করেছেন ওই প্রধান শিক্ষক।

জানা যায়, আগামী ডিসেম্বরে যশোর আদর্শ বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। নিয়ম অনুযায়ী কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়টির কয়েকশ গজ দূরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ চৌধুরীর বাড়ি। ফলে বিদ্যালয়টিতে সভাপতি হতে চান ফরিদ চৌধুরী। কিন্তু ফরিদ চৌধুরীকে সভাপতির পদ নিশ্চিত না করে নির্বাচন করার উদ্যোগ নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন তিনি। এজন্য প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার ফোন করে ও ক্যাডার পাঠিয়ে গালাগালি করেন উপজেলা চেয়ারম্যান।

প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, বিদ্যালয়টিতে সম্প্রতি তিনজন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি তাদের নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু নিয়োগের আগেই উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার ফোন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য বলেন। পরবর্তীতে নিয়োগ হয়ে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান ফোন করে প্রধান শিক্ষককে নিয়োগপ্রাপ্তদের তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু কর্মচারীরা না যাওয়াই মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হন। তিনি একাধিকবার ফোন করে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তার ক্যাডারদের স্কুলে পাঠিয়ে প্রধান শিক্ষককে হুমকি দেন।

এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে আঘাত পাওয়া প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন ফোনে অভিযোগ করেছেন, ‘বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ বাড়িতে ডেকে পাঠান। আমাকে তার বাড়ির দোতলায় নিয়ে একটি কক্ষে বসান। স্কুলের অভিভাবক সমাবেশে তাকে অতিথি কেন করা হয়নি, এ বিষয়টি জানতে চান। আমি কমিটির কথা বলাতে ক্ষেপে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি দেন। তাৎক্ষণিকভাবে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা শিক্ষা অফিসারকে ফোন করে অনুষ্ঠান হবে না বলে জানিয়ে দেন। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও বিষয়টি শুক্রবার জানাজানি হয়েছে।

মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী উপস্থিতিতে ওই ক্যাডাররা দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রধান শিক্ষককে নির্যাতন করেন। তারা প্রধান শিক্ষকের মাথা, ঘাড়, মুখসহ বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুসি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। শিক্ষকতা জীবনে আমি কোনো অন্যায় করিনি। নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। আর এই বয়সে এসে আমি একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এমন নির্যাতনের শিকার হবো, তা কখনো কল্পনাও করিনি। আমার বিচার চাওয়ার ভাষা নেই। হত্যার হুমকির হুলিয়া নিয়ে দিন পার করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কারো কাছে বিচার চাইতেও পারছি না। আমি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে ন্যায় বিচার কামনা করছি।

অভিযোগের বিষয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ওই শিক্ষক মাঝেমধ্যে তার কাছে এলেও ৮ তারিখে আসেননি।

রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেছেন, আমি কাউকে নির্যাতন করিনি। সবই বানোয়াট। বিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ। বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় স্থানীয়রা চান- আমি যেন নতুন কমিটির সভাপতি হই। সম্প্রতি সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ আমাকে বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন। আমি প্রধান শিক্ষক নূরুল আমিনের কাছে তা দিয়েও এসেছি।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews