1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
প্রাথমিক শিক্ষকদের নিরাপত্তায় 'শিক্ষক কল্যাণ ট্রাষ্ট গঠন - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শ্যামনগরে যুব বিভাগের মাদকবিরোধী র‍্যালি তিন খুনের স্বীকারোক্তিমূলক আসামি কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন কুড়িগ্রাম উলিপুরে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১ম দিনে অনুপস্থিত ৬৬, বহিষ্কার ২ নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির জয়লাভ ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ: নেতানিয়াহুর বিচার বাতিল করুন পদ্মায় ধরা পড়ল ২১ কেজির কাতল মাছ, বিক্রি ৩৮ হাজার টাকায় ইসরায়েলি গোয়েন্দার অডিও ফাঁস: “তালিকায় আছো, পালাও” নতুন বাংলাদেশ দিবস ও শহীদ আবু সাঈদ দিবস পালনের নির্দেশনা জারি চীনকে ইঙ্গিত? নিজ ভূখণ্ডে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল জাপান ইন্দিরা সরকারের অধীনে জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ: এক গ্রামের ত্যাগ ও ট্র্যাজেডি

প্রাথমিক শিক্ষকদের নিরাপত্তায় ‘শিক্ষক কল্যাণ ট্রাষ্ট গঠন

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩৩ জন খবরটি পড়েছেন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তায় অবশেষে গঠিত হয়েছে শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট। এই ট্রাস্টের বোর্ড সদস্যদেরও এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। কমিটিতে ২১ জন সদস্য নির্ধারিত থাকলেও এরই মধ্যে ১৮ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি তিনজনের নাম ঘোষণা না করা হলেও তাদের কো-অপ্ট করা হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

অন্যদিক কোনো শিক্ষক চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে এই কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তাদের সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়া হবে। সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের স্বাক্ষরে এই কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর।

এদিকে বহু প্রতীক্ষারএরই মধ্যে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। ১৮ সদস্যের কমিটিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকবেন অধিদফতরের মহাপরিচালক। আর সদস্য সচিব থাকবেন অধিদফতরের উপপরিচালক (প্রশাসন)।
সূত্র মতে, ট্রাস্টি বোর্ডে মহাপরিচালক কর্তৃক ১১ জন শিক্ষককে মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়া অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিচালক, উপপরিচালকসহ আরো ছয়জন সরকারি সদস্য হিসেবে বোর্ডে থাকবেন। এখানে পদকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও পদের কোনো পরিবর্তন হবে না। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্র জানায়, ২০২২ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২২-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর সংসদে পাস হওয়ার পর আইনের কাঠামো নিয়ে কাজ শুরু করে অধিদফতর। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।

এরই মধ্যে এই আইনটিকে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা যুগান্তকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তারা বলছেন, এখন কোনো শিক্ষক চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে তার অপ্রাপ্ত বয়সের সন্তানের লেখাপড়ার খরচ কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে দেয়া হবে। শিক্ষকরা আরো বলছেন, এই ট্রাস্ট হওয়ার পর চাকরিরত অবস্থায় একজন শিক্ষকের মৃত্যু হলে তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোনো সন্তান থাকলে, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু থাকলে ও তৃতীয় লিঙ্গের কোনো শিশু থাকলে, তাদের লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।

জানা গেছে, ট্রাস্টটি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে কাজ করবে। সরাসরি সরকারি নয়, অটোনোমাস টাইপের আইন দিয়ে গঠিত এই ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় থাকবে ঢাকায়। সরকারের পূর্ব অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে শাখা বা কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। পরিচালনায় একটি ট্রাস্টি বোর্ড থাকবে। সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের জন্য এ কল্যাণ ট্রাস্ট ২১ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ড থাকবে। সেখানে একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক সেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করবেন। সদস্য সচিব হবেন মহাপরিচালক কর্তৃক নিয়োগ করা একজন শিক্ষক। তারা তাদের মনোনয়নের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য ওই বোর্ডে থাকতে পারবেন। ট্রাস্টের একটি তহবিল থাকবে। ট্রাস্টের নামে বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোনো তফসিলি ব্যাংকে এটা রাখা হবে। এখান থেকে ব্যয় নির্বাহ করা হবে। ট্রাস্ট তার আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করবে ও বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করবে।

এছাড়া বার্ষিক প্রতিবেদন পরবর্তী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে সরকারের কাছে জমা দেবে, অর্থাৎ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে। তাদের কাজ হবে শিক্ষক ও পোষ্যদের জন্য আর্থিক সাহায্য দেবে। শিক্ষকের স্বামী বা স্ত্রী-সন্তানের শিক্ষা সহায়তার জন্য এককালীন আর্থিক সাহায্য বা বৃত্তি দেবে। শিক্ষকের স্বামী বা স্ত্রী-সন্তানের জন্য বৃত্তিমূলক বা অন্যান্য পেশাগত আর্থিক সহায়তা দেবে। আর চাকরিরত অবস্থায় কোনো শিক্ষকের মৃত্যু হলে সেই শিক্ষকের অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের জন্য লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্টের তহবিল থেকে নির্বাহ করা হবে। নয়াদিগন্ত

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews