অভয়নগরে ভাঙ্গা ও জোড়া-তালির বেঞ্চে চলছে শ্রেণি কার্যক্রম
স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর (যশোর) থেকে। অভয়নগরে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় একটি স্কুলের টেবিল-চেয়ার-বেঞ্চ ক্রয় না করে পুরো টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার সিদ্দিপাশা ইন্সটিটিউটশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও প্রকল্প সভাপতি মো. জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সভাপতি নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও প্রধান শিক্ষক বলেছেন- বিদ্যালয়ে টেবিল-চেয়ার-বেঞ্চ কিছুই পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রকল্প অফিসসূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচি। প্রকল্প নং- সাধারণ/ বিশেষ ১ম পর্যায়- ২৭। প্রকল্পের নাম- সিদ্দিপাশা ইন্সটিটিউটশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ক্রয়। বরাদ্দের পরিমাণ- দুই লাখ টাকা। কাজের ধরণ- চেয়ার, টেবিল, বে ক্রয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, গত কয়েক বছর যাবৎ বিদ্যালয়ে পুরাতন টেবিল-চেয়ার-বে ব্যবহার করা হচ্ছে। নতুন আসবাবপত্র চোখে পড়েনি। স্কুলের সভাপতি জিয়াউর রহমান স্থানীয় মেম্বার হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করেন না।
শিক্ষকরা জানান, দুই লাখ টাকার টিআর প্রকল্প দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি কিন্তু আমরা কিছুই জানিনা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক গাজী হাবিবুর রহমান জানান, কিছু আসবাবপত্র মেরামত করা হয়েছে। তবে বরাদ্দকৃত টিআর প্রকল্পের দুই লাখ টাকার নতুন টেবিল- চেয়ার- বেঞ্চ এখনও পাইনি।
এ ব্যাপারে স্কুল পরিচালনা পর্ষদ ও প্রকল্পের সভাপতি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, আমি সভাপতি হওয়ার পর স্কুলের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের টিআর প্রকল্পের দুই লাখ টাকার নতুন চেয়ার-টেবিল-বেঞ্চ ক্রয়ের বিষয় জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গটি এড়িয়ে বলেন, ‘সাংবাদিক ভাই আপনি আমার সঙ্গে একটু দেখা করেন।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদ জানান, এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।