1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
শ্যামনগরে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শ্যামনগরে যুব বিভাগের মাদকবিরোধী র‍্যালি তিন খুনের স্বীকারোক্তিমূলক আসামি কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন কুড়িগ্রাম উলিপুরে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১ম দিনে অনুপস্থিত ৬৬, বহিষ্কার ২ নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির জয়লাভ ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ: নেতানিয়াহুর বিচার বাতিল করুন পদ্মায় ধরা পড়ল ২১ কেজির কাতল মাছ, বিক্রি ৩৮ হাজার টাকায় ইসরায়েলি গোয়েন্দার অডিও ফাঁস: “তালিকায় আছো, পালাও” নতুন বাংলাদেশ দিবস ও শহীদ আবু সাঈদ দিবস পালনের নির্দেশনা জারি চীনকে ইঙ্গিত? নিজ ভূখণ্ডে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল জাপান ইন্দিরা সরকারের অধীনে জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ: এক গ্রামের ত্যাগ ও ট্র্যাজেডি

শ্যামনগরে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩৪ জন খবরটি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিনিধি।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ভাষা আন্দোলনের প্রায় ৭২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এ উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও নির্মাণ হয়নি শহীদ মিনার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালনই করা হয় না। ফলে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না। এতে দিন দিন ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে তারা।

উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৯১টি সরকারি প্রাথমিক, ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৮টি কলেজ ও ৩৬টি মাদ্রাসা আছে। এ ছাড়া রয়েছে ২০টি কিন্ডারগার্টেন ও ২টি এনজিও বিদ্যালয়।

কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলায় হাতে গোনা ১৫ থেকে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলে বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর কোনো কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না বানিয়ে শুধু আলোচনা সভা বা মিলাদ মাহফিল করে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে তা-ও করা হয় না।

উপজেলার ধূমঘাট নিম্নমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোনো শহীদ মিনার নেই। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অর্থের অভাবে প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করতে পারিনি। তাই একুশে ফেব্রুয়ারি এলে স্কুলের মাঠে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

১৩৯ নং হাটছালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবোতোষ মন্ডল বলেন, শহীদ মিনার নেই। তাই একুশে ফেব্রুয়ারির আগের দিন বিদ্যালয়ের মাঠে কলাগাছের বা কাঠ দিয়ে শহীদ মিনার বানানো হয়।হাটছালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মৌলি জান্নাতুল ফেরদাউস ও পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সার্থক মন্ডল বলে, একুশে ফেব্রুয়ারির দিন স্কুলে স্যারেরা কলাগাছ দিয়া শহীদ মিনার বানায়। আমরা সকালে ওঠে ফুল দেই। তাদের দাবি সরকারি উদ্যোগে তাদের স্কুলে যেন শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।

১৫৭ নং ফুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী, শাহজাহান আলী, তৃষ্ণা মন্ডল, ইয়াসিন হোসেন ও স্মৃতি সাহা জানায়, তাদের স্কুলের শহীদ মিনার নেই। শহীদ মিনার না থাকায় তারা ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারে না। তাদের দাবি সরকারি উদ্যোগে তাদের স্কুলে যেন শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। একই কথা জানিয়েছে ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী, কেয়া মন্ডল, ফারহানা খাতুন ও সুনিতা রানী।

একইভাবে দরগাপুর এন.ডি.এস ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাবির হোসেন জানায়, তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪৫০ জন শিক্ষার্থী ও ২২ জন শিক্ষক এবং ৬ জন কর্মচারী রয়েছে। মাদ্রাসা আঙ্গিনায় শহীদ মিনার না থাকায় তারা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে না। তাদের দাবি সরকার যাতে তাদের মাদ্রাসাটিতে শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেয়। একই কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিকাইল, দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোঃ কাইয়ুম ও ফাজিলের মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের।

নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখার্জি বলেন, শ্যামনগর উপজেলায় ১৫ থেকে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকী সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভাষা শহীদের ইতিহাস, তাৎপর্য ও সম্মান জানাতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ দরকার।

একইভাবে দাবি করেন জোবেদা সোহরাব মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস ছত্তার। তিনি বলেন, স্কুল আঙ্গিনায় শহীদ মিনার না থাকায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে যেতে হয় যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য অনেকটাই কষ্টের।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ তেজারাত ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক বলেন, স্থানীয়ভাবে অর্থব্যয় করে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব না। সরকারী উদ্যোগে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো উচিৎ। এ দিবস কি ও তাৎপর্য শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভার করার জন্য অফিস থেকে চিঠি দেওয়া হয়ে থাকে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews