1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় মাত্র পাঁচ চিকিৎসক - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
১০ লাখ টাকায় মিসাইল ড্রোন! তরুণ উদ্ভাবকের দাবি আলোচনায় শ্যামনগরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু শ্যামনগর কৈখালী সীমান্তে পতাকা বৈঠকে ৪ বাংলাদেশীকে হস্তান্তর মাদক, অনলাইন জুয়া ও ইভটিজিং প্রতিরোধে শ্যামনগরে বিট পুলিশিং সভা ইরান পার্লামেন্টের অনুমোদন: হরমুজ প্রণালী বন্ধ হতে পারে যেকোনো সময় সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা পুলিশ হেফাজতে অভয়নগরে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর লাশ মিলল ডোবায় ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে, পারমাণবিক স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় শরীয়তপুরের ডিসি ওএসডি যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ‘আইনবহির্ভূত ও অপরাধমূলক’—ইরানের কড়া প্রতিক্রিয়া

চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় মাত্র পাঁচ চিকিৎসক

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪
  • ৮৯ জন খবরটি পড়েছেন

যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি যন্ত্রপাতি, চিকিৎসক সহ নানা সংকটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে । এ হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৭ জন। এরমধ্যে আবার একজন বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে এবং আরেকজন যশোর জেলা সিভিল সার্জন অফিসে দায়িত্বে রয়েছেন।

এছাড়াও সার্জারি যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতা, অপরিচ্ছন্নতা, ওয়ার্ডে পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা, ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত বাথরুমসহ নানা সমস্যা রয়েছে হাসপাতালটিতে। দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে প্রায় দু’কোটি টাকা মূল্যের দুটি অপারেশন থিয়েটার।

জানা যায়, ১৯৬২ সালে নির্মিত হয় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। উপজেলার ১১ ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও বেনাপোল স্থলবন্দরের অন্তত চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল এটি। ২০১৫ সালের ৩ মার্চ ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও সেবার মান বাড়েনি। দেওয়া হয়নি চাহিদামতো জনবল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালে ২২টি মেডিকেল কর্মকর্তার পদ থাকলেও খাতা-কলমে রয়েছেন ৭ জন। হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন ৫ জন। বাকি ২ জন অন্যত্র ডিউটিতে থাকেন। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী থাকার কথা ৭৭ জন। সেখানে মাত্র ৩৫ জন কাজ করছেন। ২২ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও আছেন ১০ জন।

হাসপাতালটিতে প্রতিদিন তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। ভর্তি হন ৩৫-৪০ জন। চিকিৎসা দিতে না পারায় বেশিরভাগ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এদিকে হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি মাঝেমধ্যে ঠিক হলেও ফিল্ম থাকে না। দুটি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে অব্যবহৃত পড়ে থাকে বছরের পর বছর। প্যাথলজি বিভাগ থাকার পরও পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য রোগীদের বাইরের ক্লিনিকে পাঠানো হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের জাহানারা খাতুন জানান, জরুরি বিভাগ থেকে ডাক্তার কয়েকটি পরীক্ষা দিয়েছেন। সেগুলো বাইরে থেকে করিয়ে আনতে বলেন। আমরা গরিব মানুষ। টাকা দিয়ে বাইরে থেকে টেস্ট করানোর অবস্থা নেই। হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ও ডাক্তার থাকলে আমাদের খুবই উপকার হতো।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাহফুজা খাতুন জানান, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও প্রয়োজনীয় জনবল বাড়ানো হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসক, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে শূন্য পদে জনবল পূরণ হলে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews