রফিকুল ইসলাম মন্টু দেবহাটা প্রতিনিধি। দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়ন কোমরপুর ও ভাঁতশালা গ্রামে ইছামতী নদীর ভেড়িবাঁধ ভাঙ্গন দেখা দিলে এলাকায় মানুষের দূর দশার কথা চিন্তা করে কিছু দিন আগে ঢাকায় বিভিন্ন দপ্তরে চাকরিরতদের মধ্যেমে অস্থায়ীভাবে ২৫ লক্ষ টাকার বাজেট আসে। কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভাঁতশালাতে কিছু টা কাজ হলেও কোমরপুরে কাজ চলছে জোড়া তালি দিয়ে। ভেড়িবাঁধ ভাঙ্গনে তারা কিছু দিন আগে গাছের গুড়ি পুতে রড় দিয়ে টানা দিয়েছিলো কিন্তু জোয়ারের পানির চাপে সেই রড় গুলা কেটে যায়। তাই সে গুলা আবার জোড়া দিয়ে চলছে কোন রকম দায় সাড়া কাজ।
কাজের ব্যাপারে পারুলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জামাতের আমির মাহবুবল আলম বলেন, কোমরপুরে কাজের কন্টাকটার আব্দুর রাজ্জাকের সালা আতাউর রহমান আতা, পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকরি করে। তাই তারা শ্যালক-দুলাভাই মিলে এই কাজটা করছে। কিন্তু এখানে আমরা জামাতের পক্ষ থেকে অলরেডি ৪ ট্রলি ইট দিয়েছিলাম তারা কাজ শুরু করার আগে। আমরা যে টুকু জানি আমাদের ওই ভাঙ্গনের জন্য ১৩ লক্ষ টাকা বাজেট হয়েছে কিন্তু ১-২লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে কিনা সন্দেহ আছে। আমরা এলাকা বাসী প্রতিনিয়ত আতঙ্কে মধ্যে থাকি কখন ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে। কিন্তু তারা তাদের গাফিলতির কারণে এই কাজটা হচ্ছে না। সেই সাথে কয়টা গাছের গুড়ি পুতে উপরে বস্তা দিচ্ছে এতে করে ভেড়ি ঠিক হচ্ছে না। ভেড়ির গোড়াতে মাটি বা বোলাক না দেওয়ার জন্য এই ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রামবাসী বলেন আমি আতাউর রহমান আতার কাছে ফোন দিলাম যাতে এখানে একটু টেকসই ভেড়ি বাধ হয়। সেখানে আতাউর রহমান বলেন এখানে যদি টেকসই ভেড়ি বাধ দিতে যায় তবে আমার দুলাভাইয়ের কিছু থাকবে না। স্থানীয় মেম্বার হিরা বলেন আমাদের এই ভাঙ্গনের জন্য এলাকায় মানুষ আতঙ্কে থাকে এই তো গত জোয়ারে পানি ছাপাতে শুরু করে কিন্তু এলাকায় নিজে উদ্যোগে এখানে বালির বস্তা ফেলে সেই জন্য কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি, তবে সাগরে নতুন করে ঘূর্নিঝড় তৈরি হচ্ছে ঝড়ের সময় আমাদের বেড়িবাঁধ টিকবে কিনা সন্দেহ হচ্ছে।
অপর দিকে ভাঁতশালা ভেড়ি বাধে গিয়ে দেখা যায় ওখানে গাছেন গুড়ি পুতে কিছু বস্তা ইট ও সুরকি ফেলা হয়েছে, স্থানীয় একজন বলেন এখানে যত বস্তা ইট ও সুরকি ফেলা হয়েছে বেশির ভাগ বস্তা ফেলেছে বিভিন্ন সংগঠন ও এলাকা বাসী, কন্টাকটার শুধু কিছু গাছের গুড়ি, টিন ও রড় দিয়ে টানা দিছে,তিনি বলেন এখানে এখন পর্যন্ত যে কাজ হয়েছে তাতে টোটাল ২-৩ থেকে লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে তবে এখানে বাজেট ছিলো ১২ লক্ষ টাকা। ভাঁতশালা ও কোমরপুর মানুষের মাঝে এখন প্রশ্ন জেগেছে যে এখানে তারা কি আসলে কাজ করছে নাকি কাজের নামে হরি লুট করছে।